(বাঁ দিকে) সুরেশ গোপী। ইন্দিরা গান্ধী (ডান দিকে)। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া গান্ধী ‘ভারতের মা’। বাম এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ‘রাজনৈতিক গুরু’। বক্তা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র কোনও নেতা নন, বিজেপি সাংসদ। এ বার লোকসভা নির্বাচনে কেরলে প্রথম বারের জন্য পদ্মফুল ফুটেছে। সে রাজ্যের ত্রিশূর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপির সুরেশ গোপী। সেই গোপীই শনিবার ইন্দিরাকে ‘ভারতের মা’ বলে সম্বোধন করেন।
শুধু তা-ই নয়, কেরলের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণ এবং সিপিএমের ইকে নায়নারকে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও সম্বোধন করেছেন গোপী। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে তিন দফায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন করুণাকরণ। আর ১৯৮০ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তিন দফায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নায়নার।
রবিবার কেরলের পানকুন্নামে করুণাকরণের স্মৃতিসৌধ ‘মুরলী মন্দিরমে’ যান অভিনেতা-রাজনীতিক গোপী। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি জানান, নিজের রাজনৈতিক গুরু করুণাকরণকে শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁর এই উদ্যোগ। করুণাকরণকে কেরল কংগ্রেসের ‘পিতা’ এবং ‘সাহসী মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, ত্রিশূর লোকসভা কেন্দ্রে করুণাকরণের পুত্র তথা কংগ্রেস প্রার্থী কে মুরলীধরনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন গোপী। এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিআই প্রার্থীর মধ্যে। গত বুধবার কেরলের কান্নুরে নায়নারের বাড়িতেও গিয়েছিলেন গোপী।