রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উপরে ‘হামলা এবং নিগ্রহের’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি-সহ পাঁচ কর্তাকে সোমবার ডেকে পাঠিয়েছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা (প্রিভিলেজ) কমিটি। সূত্রের খবর, সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার। লোকসভার সচিবালয়ে চিঠি দিয়ে রাজীব জানিয়েছেন, লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা (প্রিভিলেজ) কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন না তিনি। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে যোগ দেবেন না উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং অতিরিক্ত সুপার পার্থ ঘোষ-ও। তবে তাঁরা কেন সেই বৈঠকে যোগ দেবেন না, তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
সন্দেশখালিকাণ্ডের আবহে বিজেপি সাংসদ সুকান্তের উপর হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি) রাজ্যের পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে ডেকে পাঠানোর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক। সোমবার বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। এই বিষয়টিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাতে স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছিলেন সুকান্তেরা। শেষে পুলিশের সঙ্গে বচসার মাঝে পড়ে সাংসদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, সুকান্তকে হেনস্থা করা হয়েছে। তাতে সাংসদের প্রাণ সংশয়ও হতে পারত বলে দাবি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই বাংলার ডিজি রাজীব, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং অতিরিক্ত সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করা হয়। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে লোকসভার সচিবালয় থেকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই তিন পুলিশকর্তাকে আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের ২ নম্বর কমিটি রুমে হাজির থাকতে হবে। উক্ত পুলিশকর্তারা যাতে সঠিক সময় সঠিক স্থানে পৌঁছে যান, তা নিশ্চিত করতেও বলা হয় অমিত শাহের মন্ত্রককে।