এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেই অনুপাতে বাড়ল না। তার ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার থমকে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ধরলে টানা ১৯ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নীচে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও টানা এক সপ্তাহ ধরে ২০০-র কম। সব দিক দিয়েই করোনা সংক্রমণের ছবিটা এ রাজ্যে এখন বেশ ইতিবাচক।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮১ জন। তার ফলে এখন এ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৯৩ জন। এ দিন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কলকাতায় (৭৯) যা গত ২১ দিনের ভিতর সর্বোচ্চ। এ ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৮। হুগলিতে এ দিন আক্রান্ত ২০ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০। বাকি আরও কোনও জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছয়নি। তবে এ দিন মহানগরে আচমকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি কিছুটা চিন্তায় রাখল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের।
বুধবার রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজারের কিছু বেশি। বৃহস্পতিবার তা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫টি। তবে সংক্রমণের হার আগের দিনের মতোই। এ দিনও সংক্রমণের হার ০.৯৫ শতাংশেই আটকে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তার শতকরা হারকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা ‘সংক্রমণের হার’।
বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৭.৫৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৪৩ জন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেন মোট ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৮২ জন। রাজ্যে এখনও সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ৬৭২ জন। অবশ্য বুধবারের তুলনায় এ দিনও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ষাটের কিছু বেশি।
রাজ্যে বৃহস্পতিবারও করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তাঁরা দু’জনই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন ১০ হাজার ২৩৯ জন। রাজ্যে মৃতের সংখ্যার নিরিখে সর্বাগ্রে রয়েছে কলকাতা। সেখানে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩ হাজার ৯২ জনের। তার পর উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫০০ জনের।