গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যের করোনা গ্রাফ গত কয়েক দিন ধরে স্থিতিশীল ছিল। বৃহস্পতিবার সব দিক থেকেই যেন আচমকা ঝাঁকুনি লাগল। ২৪ ঘণ্টার নিরিখে এ দিনই আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ — ২ হাজার ৪৩৪। ওই একই সময়সীমায় মৃত্যুও হয়েছে ৪৬ জনের। এই সংখ্যাটিও এখনও পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ। তবে একই সঙ্গে ২ হাজার ১৪০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছেন। আর সেটাই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাখছে স্বাস্থ্য দফতরকে। যদিও বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে সংক্রমণের হার সামান্য হলেও বেড়েছে।
গত ১৮ জুলাই থেকে লাগাতার রাজ্যে রোজ ২ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ দিন সেই সংখ্যাটা এক লাফে হল ২ হাজার ৪৩৪ জন যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে রাজ্যে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা হল ৬৭ হাজার ৬৯২। গত কালকের তুলনায় এ দিন কলকাতায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কয়েক ধাপ বেড়েছে। গত কাল মহানগরীতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৮৮ জন। এ দিন তা এক ধাক্কায় হয়েছে ৭৫০ জন। মৃত মোট ৪৬ জনের মধ্যে ১৬ জন কলকাতার। উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩ এবং হাওড়ায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ দিন।
কলকাতার পাশাপাশি উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে দুই পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৭০, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩৭, হাওড়ায় ২৬০, হুগলিতে ১৫৯ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৯ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে এ দিন। এ দিন অবশ্য উত্তরবঙ্গের ছবিটা কিছুটা স্বস্তিদায়ক। দার্জিলিঙে ৪৩, কোচবিহারে ৩৩, উত্তর দিনাজপুরে ৪১, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৪৯ এবং মালদহে ১০০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
আরও পড়ুন: সুস্থ ১০ লক্ষাধিক, দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫২ হাজার
রাজ্যে কোভিড-১৯ টেস্টের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। প্রতিদিন কত জন রোগীর করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে কত জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্ট হয়েছে ১৮ হাজার ৪২ জনের। বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১৩.৪৯ শতাংশ। এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষ ৫৬ হাজার জনের টেস্ট হয়েছে।
https://www.anandabazar.com/topic/coronavirus
আরও পড়ুন: আধ ঘণ্টার মধ্যেই ১৩ করোনা রোগী শনাক্ত, প্রতি দিনই হবে অ্যান্টিজেন টেস্ট
করোনা চিত্রে কিছুটা স্বস্তির রেখা দেখা গিয়েছে সুস্থতার হারে। প্রায় প্রতিদিনই এই হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ — ২ হাজার ১৪০ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী ৪৬ হাজার ২৫৬ জন। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১৯ হাজার ৯০০ জন। বেড়েছে সুস্থতার হারও — ৬৮.৩৩ শতাংশ।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)