Mental Wellbeing of Teachers Survey

কেন্দ্রের নির্দেশ, রাজ্যের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের মনের স্বাস্থ্য জানতে সমীক্ষা করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের ‘মনোদর্পণ’ প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমীক্ষার কাজ হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

অমিত রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪৩
Share:

শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে এ বার সব রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমীক্ষা হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই সমীক্ষা চালাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে মূলত পর্ষদ অনুমোদিত সমস্ত স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের উদ্দেশে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘মেন্টাল ওয়েলবিয়িং অফ টিচার্স সার্ভে’-এর অধীনে এই সমীক্ষার কাজ হবে। সমীক্ষার কাজের জন্য ওই নির্দেশিকাতেই একটি লিঙ্ক দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি শিটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে তাদের শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে হবে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলিকে শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য আপলোড করে দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য পর্ষদের কাছে জমা পড়ার পর সমীক্ষার কাজ শুরু হবে।

Advertisement

সেই বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের ‘মনোদর্পণ’ প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমীক্ষার কাজ হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে নির্দেশিকা আসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তার পরেই আলাপ-আলোচনা করে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষকদের মানসিক সুস্থতার কথা জানতে উদ্যোগী হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিভিন্ন স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের পাশাপাশি কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে। এ ছাড়াও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের সমস্ত ডেপুটি সেক্রেটারি, আঞ্চলিক আধিকারিক-সহ সব জেলার ডিআইদের। পর্ষদের তরফে এই নির্দেশিকাটি জারি করেছেন ডেপুটি সেক্রেটারি (অ্যাকাডেমিক) ঋতব্রত চট্টোপাধ্যায়।

পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, দেশের অন্য রাজ্যগুলিকেও শিক্ষকদের মানসিক সুস্থতার কথা জানতে এই ধরনের সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সব রাজ্যই নিজেদের মতো করে এ বিষয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। বাংলার শিক্ষামহলের একাংশের মতে, এই ধরনের সমীক্ষার কাজ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। যে সব শিক্ষকেরা আগামী প্রজন্ম তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের মানসিক অবস্থা কেমন রয়েছে তা জানা আবশ্যিক। তাই মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একাধিক ইস্যুতে বিরোধ হলেও শিক্ষকদের মানসিক সুস্থতার কথা জানার বিষয়ে দুই সরকারই সম্ভবত একমত। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ পছন্দ না হলে পর্ষদের তরফে নির্দেশিকা জারিই হত না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement