B.Ed

প্রাথমিকে বিএড প্রশিক্ষিতদের নিয়োগ-সংশয়

নতুন নিয়োগে ডিএলএড প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে বিএড প্রশিক্ষিতরাও অংশ নিতে পারবেন জানতে পেরে বহু চাকরিপ্রার্থীই প্রাথমিকে নিয়োগে আবেদন করতে শুরু করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪২
Share:

নিয়োগ-সংশয়। প্রতীকী ছবি।

প্রাথমিকে ১১৭৬৫ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডিএলএডের সঙ্গে বিএড প্রশিক্ষিত টেট পাশ প্রার্থীদের আবেদনও গ্রহণযোগ্য। এই মর্মে প্রথমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার পর্ষদ আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যদি বিএড প্রশিক্ষিতদের প্রাথমিকে নিয়োগের মান্যতা দেয়, তবেই তাঁরা নিয়োগের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবেন।

Advertisement

২০১৮-য় ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন বা এনসিটির গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ডিএলএড প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের নিয়োগে বসতে পারবেন। সেই মতো গত অক্টোবরে পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, এ বার ডিএলএড প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে বিএডরাও আবেদন করতে পারবেন। ডিএলএড প্রশিক্ষত চাকরিপ্রার্থীদের মতে, এ দিন পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল, তা আগেই প্রকাশ করা উচিত ছিল। কারণ, এনসিটির গাইডলাইনকে চ্যালেঞ্জ করে অনেকদিন আগেই রাজস্থানের চাকরিপ্রার্থীরা হাই কোর্টে যান। পরে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। রাজস্থানের পরে উত্তরপ্রদেশ, হিমালচলপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা মামলা করেন। পশ্চিমবঙ্গের এক মামলাকারী পিয়ালী সামন্ত বলেন, “আমরাও প্রাথমিকে নিয়োগে শুধু ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করি। হাই কোর্ট জানায়, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত জানাবে।” পিয়ালীর প্রশ্ন, হাই কোর্ট গত ১৭ অক্টোবর জানায় বিএড প্রশিক্ষিতরা প্রাথমিকে বসতে পারবে কি না, তা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এরপর কেন ২১ অক্টোবর পর্ষদ নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল বিএডরাও আবেদন করতে পারবে? তখন কেন বলা হল না, বিএড প্রশিক্ষিতরা অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না, তা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন?”

সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে ১৬ নভেম্বর। এ দিকে নতুন নিয়োগে ডিএলএড প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে বিএড প্রশিক্ষিতরাও অংশ নিতে পারবেন জানতে পেরে বহু চাকরিপ্রার্থীই প্রাথমিকে নিয়োগে আবেদন করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যদি বিএড প্রশিক্ষিতদের প্রাথমিকের নিয়োগে মান্যতা না দেয়, তা হলে এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসা নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা কমে যেতে পারে। আন্দোলনরত ২০১৪-র প্রাথমিক টেট প্রার্থীদের অনেকেই বিএড প্রশিক্ষিত। পিয়ালীর দাবি, “নিয়োগের সময় প্রাথমিকে ডিএলএডদের অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর বিএডকে দেওয়া হোক। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ডিএলএডের সঙ্গে বিএড প্রশিক্ষিতদের সমতুল করা যায় না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement