শুধু রাজ্য দফতরেই নয়, বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষেও চার রাজ্যে জয়ে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। দলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বৃহস্পতিবার ব়ড়সড় একটি কেক নিয়ে এসেছিলেন বিধানসভায়। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হয়ে যেতেই সেই কেক বিলি করতে শুরু করেন। অন্য দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে চলে মিষ্টি বিলি। বিধানসভার সামনের রাস্তায় নেমে লাড্ডু বিলি করেন বিধায়করা।
তিন রাজ্যে জয়ের পর রাজ্য বিজেপি নেতাদের উৎসব। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে আশাভঙ্গ, একের পর এক উপনির্বাচনে শোচনীয় হার এবং পুরভোট ভরাডুবি। এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়া রাজ্য বিজেপি-র চেহারাটা এখন আক্ষরিক অর্থেই বিপর্যস্ত। এ বার উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্য ভাল ফলের পরে সেই পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে মনে করছে বাংলার গেরুয়া শিবির। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মনে করছেন, দলের যে সব কর্মী, সমর্থকরা হতাশায় ভুগে বাড়িতে বসেছিলেন তাঁরা এ বার রাজনীতির ময়দানে নামবেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘এই জয় রাজ্যের বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের উজ্জীবিত করবে। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে হারানো মনোবল ফিরে পাবেন তাঁরা। এই চার রাজ্যের ফলাফলে যে গেরুয়া ঝড়, তা থেকে বাদ থাকবে না পশ্চিমবঙ্গও। আমরা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভাল ফল করব এবং ২০২৬ সালে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করব।”
তখনও পাঁচ রাজ্যের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। গণনা চলার মধ্যেই সুকান্ত আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, দলের পক্ষ থেকে কোনও কর্মসূচি নেওয়া না হলেও কর্মী, সমর্থকদের বলা হয়েছে তাঁরা চাইলে বিজয় উদ্যাপন করতেই পারেন। কিন্তু দুপুর গড়াতেই রাজ্য বিজেপি দফতরে সমর্থকদের ভিড় তৈরি হয়। অনেক দিন পরে অন্য ছবি দেখা যায়। রাজ্যে বার বার হারের মুখ দেখা বিজেপি কর্মীরা উল্লাসে মাতেন। গেরুয়া আবির খেলেন। সঙ্গে বাজনাও ছিল। মিষ্টি বিলিও হয়।
শুধু রাজ্য দফতরেই নয়, বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষেও চার রাজ্যের জয়ের উল্লাস প্রকাশ করেন। দলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বৃহস্পতিবার ব়ড়সড় একটি কেক নিয়ে এসেছিলেন বিধানসভায়। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হয়ে যেতেই সেই কেক বিলি করতে শুরু করেন। অন্য দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে চলে মিষ্টি বিলি। বিধানসভার সামনের রাস্তায় নেমে লাড্ডু বিলি করেন বিধায়করা। চলন্ত বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের হাতে লাড্ডু দেন শুভেন্দুরা।
অনেক দিন পরে জয়ের আনন্দ প্রকাশ পায় সুকান্তর গলাতেও। তিনি বলেন, “একটি কথা চালু রয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে দিল্লি যাওয়ার রাস্তা তৈরি হয়। তাই এই জয় বুঝিয়ে দিল, ২০২৪ সালে দিল্লির মসনদে নরেন্দ্র মোদী আরও একবার বসছেন।” একই সঙ্গে তৃণমূলকে খোঁচাও দেন সুকান্ত। বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদীজিই হবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মুখ। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে স্পষ্ট যে রাজ্যের বাইরে তৃণমূল নেই। অন্য দিকে, কেজরীবালের দল দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাবেও সরকার চালাবে। ফলে মমতা না কেজরীবাল কাকে বিরোধী শক্তির মুখ করা হবে তা বিরোধীরাই ঠিক করবেন।’’