অমিত নেই, বিজেপি-র সভাও হচ্ছে না ৩০শে

বঙ্গে বিজেপি প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর ‘উত্থান দিবস’ পালনের যে সভা করে, এ বার বিহারের বিপর্যয়ের ধাক্কায় তা বাতিল হল। ওই দিন আসছেন না দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৫ ২১:৫৩
Share:

বঙ্গে বিজেপি প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর ‘উত্থান দিবস’ পালনের যে সভা করে, এ বার বিহারের বিপর্যয়ের ধাক্কায় তা বাতিল হল। ওই দিন আসছেন না দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও। তবে কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য ডিসেম্বর থেকে দলীয় ৭টি সভায় তাঁকে আনার চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি। পাশাপাশি, উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে আগামী ১২ এবং ২৩ জানুয়ারি সভা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও অনুরোধ পাঠিয়েছে তারা। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘‘৩০ নভেম্বর আমরা কলেজ স্কোয়্যার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ মহামিছিল করব। সেখানে কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থাকবেন।’’

Advertisement

রাহুলবাবু এ দিন আরও জানান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের যে সব সংখ্যালঘু মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে এ দেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদানের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করবেন দলীয় প্রতিনিধিরা। বস্তুত, বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন যে, বিহারের বিধানসভা ভোটে দলের পরাজয়ের প্রভাব এখানে পড়বে না। রাহুলবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এ রাজ্যে বিহারের মতো জাতপাত নির্ভর ভোট হয় না। এখানকার মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের কোনও কাজই করেননি। এখানে বিজেপি-কে ভয় পাচ্ছে বলেই সিপিএম, তৃণমূল-সহ সব পক্ষ তলায় তলায় হাত মেলাচ্ছে।’’ একের পর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে এসে রাজ্য সরকারের প্রশংসা করছেন। কিন্তু রাজনীতিতে তার প্রভাব পড়ছে না বলে বিজেপি-র দাবি। যদিও দলের রাজ্য নেতৃত্ব একান্তে মেনে নেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এ হেন আচরণে তাঁদের বিড়ম্বনাই বাড়ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement