এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তিনি ‘ধর্ষিত’ হয়েছেন এই ঘটনা বাড়ির লোক জানতে পারলে বকবে, মারধর করবেন। আর সেই ভয়েই ধর্ষণের প্রমাণ লুকোতে যৌনাঙ্গে ব্লেড এবং পাথর ঢোকালেন তরুণী। ব্লেডের আঘাতে রক্তপাত হতে থাকায় শেষমেশ পুলিশকে ফোন করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর ধর্ষণের একটি মামলা রুজু করা হয়।
ঘটনাটি মুম্বইয়ের। গত মঙ্গলবার একটি রেলস্টেশন থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এক অটোচালকের বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, এক অটোচালকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। গত মঙ্গলবার ওই অটোচালকের সঙ্গে বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে আরনালা সৈকতে যান তরুণী। সেখানে একটি হোটেলে রাত কাটানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
কিন্তু তরুণীর কাছে কোনও পরিচয়পত্র না থাকায় হোটেলে ঘর পাননি। তাই তাঁরা সৈকতেই রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেন। পুলিশের অনুমান, সেই সময়েই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। তার পর তরুণীকে সৈকতে ফেলে রেখে চম্পট দেন অটোচালক। পুলিশ সূত্রে খবর, আতঙ্কিত হয়ে তরুণী নালাসোপারা স্টেশনে আসেন। কিন্তু ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না। ধর্ষণের ঘটনা শুনলে বাবা-মা তাঁকে মারবেন, এই আতঙ্কে স্টেশনের বাইরেই বসে থাকেন তিনি। তার পর দোকান থেকে একটি ব্লেড কিনে নিয়ে আসেন। একটি প্লাস্টিকে সেই ব্লেড এবং একটি পাথর ভরে যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেন। কিছু ক্ষণ পরেই রক্তপাত হতে থাকায় আরও ভয় পেয়ে যান তরুণী। তার পরই পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে তরুণীকে উদ্ধার করে। ধর্ষণের মামলা দায়ের হয় অটোচালকের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, বারাণসীতে কাকার বাড়িতে থাকার সময় নিজেকে অনাথ বলে দাবি করতেন তরুণী। রবিবার কাকার সঙ্গে মুম্বইয়ে আসেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বাবা তাদের জানিয়েছেন যে, এর আগেও ২০২৩ সালে তাঁর কন্যা দু’টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। একটি নির্মল নগরে। অন্যটি শিবাজি নগরে। তরুণীর কোনও মানসিক সমস্যা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।