কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের তোলা অভিযোগের জবাব দিল রাজ্য। নির্মলার অভিযোগকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করে তথ্য তুলে ধরে তার জবাব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার লোকসভায় নির্মলা জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত জিএসটি ক্ষতিপূরণের ‘সেস ক্লেম’ অডিটর জেনারেলের শংসাপত্র সহকারে পাঠায়নি পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে তথ্য দিয়ে তার জবাব দিয়েছে নবান্ন। বাংলার দাবি, এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণের টাকা মোটের হিসাবে দেওয়া হয়েছে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ বছরের। বাকি ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ০১.০৪.২০২২ থেকে ৩০.০৬.২০২২-এর ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া হয়েছে নেট হিসাবে। রাজ্যের দাবি, যদি নেট রাজস্বের হিসাবেই ক্ষতিপূরণ নির্ণয় করা হয়, তা হলে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রের কাছে ২৪০৯.৯৬ কোটি টাকা প্রাপ্য।
নির্মলার অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী (সিআরপিএফ)-র খাতে ১,৮৪১ কোটি টাকা বাংলার কাছে প্রাপ্য রয়েছে কেন্দ্রের। পাল্টা রাজ্যের দাবি, ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে থাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এ ব্যাপারে রাজ্যের সম্মতি নেওয়া হয় না। তাই ভোটের ডিউটিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য যা খরচ করার তা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই। আর মাওবাদীদের নিয়ে সমস্যা তো জাতীয়। তাই ‘লাল সন্ত্রাস’ কবলিত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও রাজ্যের বিষয় নয়। বাহিনীর গতিবিধিও সীমাবদ্ধ নয় কোনও একটি রাজ্যে। ফলে এই সংক্রান্ত খরচও কেন্দ্রীয় সরকারকেই করতে হবে, রাজ্যকে নয়।
নির্মলার তৃতীয় অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় সমন্বয়সাধনের জন্য তৈরি রিপোর্ট পাঠায়নি বাংলা। নবান্ন বলছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা তহবিলের আর্থিক সমন্বয়সাধন রিপোর্ট কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে প্রথম পাঠানো হয় ২০২১ এর ১৮ জুন। মন্ত্রকের বলা বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে আবার ২০২২-এর ২৭ সেপ্টেম্বর তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রকে। তার পর থেকে মন্ত্রক এর সম্বন্ধে আর কোনও বিষয় জানতে চায়নি। রাজ্যের দাবি, তহবিল ছাড়ার জন্য এটা কোনও বাধ্যতামূলক নীতি নয়।