দার্জিলিং, হাওড়ার পরে রাজ্যের তৃতীয় জেলা হিসেবে পশ্চিম বর্ধমানে প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হল
পশ্চিম বর্ধমানকে ‘ধূমপানমুক্ত জেলা’ হিসেবে ঘোষণা করলেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। শুক্রবার তিনি এই ঘোষণা করেছেন। জেলাশাসকের দাবি, ‘‘দার্জিলিং, হাওড়ার পরে রাজ্যের তৃতীয় জেলা হিসেবে এখানে প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হল।’’ প্রশাসন জানায়, এ দিন থেকেই জেলার নানা প্রান্তে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে জন-সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছে।
এ দিন জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেলার ৮০ শতাংশ এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একশো মিটারের মধ্যে তামাক জাতীয় সামগ্রী বিক্রি করা যাবে না। এই দুই নিষেধাজ্ঞা না মানা হলে আইন অনুযায়ী দু’শো টাকা জরিমানা করা হবে।’’ তবে কোন কোন এলাকায় ধূমপান করা যাবে না, তা প্রচার করে জনতাকে বোঝাবে প্রশাসন। প্রশাসনের এই নিষেধ ঠিক মতো পালিত হচ্ছে কি না, তা দেখবেন এক জন নোডাল অফিসার। পাশাপাশি, সেই অফিসারের নাম, ফোন নম্বর-সহ জেলার নানা প্রান্তে কয়েক হাজার বোর্ড টাঙানো হবে।
শুক্রবার যে কর্মূসচি থেকে এই ঘোষণা করেন জেলাশাসক, সেখানে ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার। তিনি জানান, প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন পরোক্ষ ধূমপায়ীরা। সরকারি দফতরগুলিতে যাতে কঠোর ভাবে নিষেধাজ্ঞা মানা হয়, সে জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আসানসোল ও দুর্গাপুর শহরের পুজো কমিটিগুলির কাছে মণ্ডপগুলিকে ‘ধূমপানমুক্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আর্জিও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও শহরের বাসিন্দাদের একাংশ মনে করছেন, এখন দেখার এই নিষেধ কতখানি মানা হচ্ছে, আদৌ মানা হচ্ছে কি না। দেখতে হবে নিষেধ মানানোর জন্য প্রচার, কড়াকড়ি কতটা।