কী ভাবে পড়ালে শিশুর সব মনে থাকবে? ছবি: ফ্রিপিক।
পড়ানোর কিছু ক্ষণ বাদেই সব ভুলে যাচ্ছে খুদে? স্কুলে গিয়েও পড়া মনে রাখতে পারছে না? এখনকার সময়ে বেশির ভাগ বাবা-মায়েরই অভিযোগ যে, খুদে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে চায় না। ভাল করে পড়িয়ে দেওয়ার পরেও সব ভুলে যায়। স্কুলের পরীক্ষায় ভাল করে কিছু লিখেই আসতে পারে না। জোর করে বা বকাঝকা করে পড়তে বসালে, অন্যমনস্ক হয়ে থাকে। বারে বারে মোবাইল বা ট্যাব চায়। টিভি দেখতে চাওয়ার বায়নাও করে। তা হলে উপায়?
এই বিশয়ে মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জোর করে পড়ালে তা কখনওই মনে থাকবে না। এমন কিছু কৌশল আয়ত্ত করতে হবে অভিভাবকদের, যাতে পড়ার বিষয়গুলিকে নিয়ে ভয় না পায় শিশু। যদি পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা যায়, তা হলে কোনওভাবেই জানা বিষয় ভুলে যাবে না।
কী ভাবে পড়ালে শিশুর সব মনে থাকবে?
স্কুল থেকে ফেরার পর পরই পড়তে বসাবেন না। অনেক বাবা-মা তা-ই করেন। স্কুল থেকে ফেরার পর প্রথম কাজ হল খেলাধুলা করা। পড়তে বসানোর আগে অন্তত ১ থেকে ২ ঘণ্টা শিশুকে খেলতে দিতে হবে।
একটানা পড়ালে হবে না। মাঝে ছোট ছোট বিরতি দিতে হবে। সেই সময়ে মোবাইল হাতে দেবেন না অথবা শিশু যেন টিভি দেখতে বসে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বিরতির সময়ে গল্প করুন।
যে বিষয়টি পড়াচ্ছেন সেটিকে গল্পের মতো করে পড়ান। সম্ভব হবে ছবি এঁকে বোঝান। গল্পের মতো করে যা পড়বে শিশু বা চোখে দেখবে, তা মনে গেঁথে যাবে।
সন্তান যা পড়ছে বা আপনি যা বোঝাচ্ছেন, তা আপনাকে পাল্টা বোঝাতে বলুন। এটা করতে সক্ষম হলে বুঝবেন, পড়া বুঝতে বা মনে রাখতে তার আর সমস্যা হবে না। যতটুকু পড়াচ্ছেন তা লিখে ফেলতে বলুন। লিখে ফেললে পড়া সহজেই মনে রাখতে পারবে।
এমন ভাবে শিশুর সামনে পাঠ্য বিষয়বস্ত উপস্থাপন করতে হবে, যাতে সে আগ্রহী হয়। খুদের ছোট ছোট সাফল্যকে উৎসাহ দিতে হবে। সমালোচনার চেয়ে প্রশংসা এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর।