মেঘাচ্ছান্ন আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেই ভেল্কি দেখাবে উত্তুরে হাওয়া। ছবি: শাটারস্টক।
শনিবার ভোরবেলা কলকাতার নানা প্রান্তে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সকাল থেকে আকাশের মুখভার। দু’এক দিন বাদ দিলে, কার্তিক মাসে তাপমাত্রা কমছিল না। দিনের বেলায় ভ্যাপসা গরম ঘামতে শুরু করেছিলেন শহরবাসী। তার উপর দোসর হয়ে শনিবার এই মেঘ-বৃষ্টি। তবে, ‘শীতকাল কবে আসবে’ বলে আর অপেক্ষা করতে হবে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পাহাড় থেকে সমতলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ক্রমে নামতে পারে। মেঘাচ্ছান্ন আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেই ভেল্কি দেখাতে পারে উত্তুরে হাওয়া। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। শৈত্যপ্রবাহের সতর্ক বার্তাও জারি হতে পারে। রাজধানীর ঠান্ডায় এ বার আশায় বুক বাধতে পারেন বঙ্গবাসীও।
আজ, শনিবার ভোররাত থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় ঝিরঝিরে বৃষ্টির কারণে পারদ কিছুটা নেমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এমনই আবহাওয়া থাকবে বলে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে। মেঘ সরলেই ঠান্ডার আমেজ ফিরবে কলকাতায়। পারদ নামতে পারে ২০ ডিগ্রির নীচে। ইতিমধ্যে দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-৭ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদ গত কয়েক দিনের তুলনায় নিম্নমুখী। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের আশা, আগামী সোমবার থেকেই উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব মালুম হবে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। মেঘ সরলে আগামী সপ্তাহেই ১৯ ডিগ্রির আশাপাশে পৌঁছে যেতে পারে পারদ। এ দিন সকাল সাড়ে আটাটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২২.৬ মিলিমিটার। আকাশ মেঘলা। ভোরের দিকে কুয়াশাও ছিল। শুধু কলকাতাই নয়, দুই ২৪ পরগনা-সহ আশপাশের জেলেগুলিতেও বৃষ্টি হয়েছে আজ। সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম থাকার কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে বিয়ে করতে না চাওয়ায় কেটে নেওয়া হল মহিলার নাক, জিভ