২১ মার্চ অর্থাৎ, বুধবার থেকে আবার ঝড়বৃষ্টির দাপট কমবে। ফাইল চিত্র ।
২০ মার্চ অর্থাৎ, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু কেন হঠাৎ করে গরমের মরসুমে মধ্যে বৃষ্টি হবে, এ বার তা-ও জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ১৭ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান এবং পার্শ্ববর্তী কচ্ছ থেকে বাংলাদেশের দিকে আবহাওয়ার গভীর একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। যা বিস্তৃত হয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়েও। একই সঙ্গে আর্দ্র হাওয়াও ভেসে আসছে বঙ্গোপসাগরের উপর থেকে। এই সব মিলিয়েই মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন। কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পারদপতনের সম্ভাবনা রয়েছে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। তবে ২১ মার্চ অর্থাৎ, বুধবার থেকে আবার ঝড়বৃষ্টির দাপট কমবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিন শহরের আকাশ মেঘলাই থাকবে। গরম থেকে মুক্তি পাবেন কলকাতাবাসী। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে হাওয়াও বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সতর্কতা জারি করে বজ্রপাতের সময় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের পুরুলিয়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হয়েছে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। এর আগে, বুধবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার মরসুমের প্রথম বৃষ্টি পেয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।