Weather Update

Winter in Bengal: তাপমাত্রা কমলেও থাকছে স্বাভাবিকের বেশি, সাগরের ‘উপদ্রবে’ নভেম্বরে বাংলায় অমিল শীত

আবহবিদেরা বলছেন, নভেম্বরের শেষে কলকাতার তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি বা তার নীচে থাকে। জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কম হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৮:২২
Share:

ফাইল ছবি।

নভেম্বরের শেষ হতে চলেছে। কিন্তু শীতের যেন লেশমাত্র নেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয়বঙ্গে। শুক্র, শনিবারের তুলনায় রবিবার পারদের সামান্য পতন হয়েছে বটে। তবে মহানগরে এখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরেই রয়েছে। আগামী কয়েক দিনেও পারদ পতনের জোরালো আশার কথা শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে শীতের দাপুটে ইনিংস এখনই শুরু হচ্ছে না। তার কারণ সাগরের ‘উপদ্রব’।

Advertisement

রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। তুলনায় জেলাগুলির তাপমাত্রা কিছুটা কম। আসানসোলে ১৫.১ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১৫.৬ ডিগ্রি, পানাগড়ে ১৪.৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমেছে। পুরুলিয়ায় রাতের তাপমাত্রা ১৩.১ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাই ওই জেলাগুলিতে তুলনামূলক বেশি ঠান্ডা মালুম হয়েছে। উত্তরবঙ্গের তরাই এলাকায় কোচবিহারে ১২.৫ ডিগ্রি এবং শিলিগুড়িতে ১৩.৭ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা নেমেছে। রবিবার মহানগরীর আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ নিয়ে বেশ কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২৯ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে আন্দামান সাগরে। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে তা এগোতে পারে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান। সরাসরি তামিলনাড়ু উপকূলে হয়তো যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্ধ্র এবং মায়ানমার উপকূলের মাঝামাঝি জায়গায় নিম্নচাপ সরে আসতে পারে। দফায় দফায় শক্তি বাড়াবে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমন হলে বাংলায় তার সরাসরি প্রভাব পড়বে না। তবে ঠাণ্ডার পথে বাধা হবে।

Advertisement

আবহবিদেরা বলছেন, নভেম্বরের শেষে কলকাতার তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি বা তার নীচে থাকে। জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কম হয়। তাই এ বছরে শীত কবে গাঙ্গেয় বঙ্গে থিতু হবে, তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে অনেকের। হাওয়ার মতিগতি দেখে আলমারি থেকে সোয়েটার, মাফলার, টুপি নামাতে ভরসাও পাচ্ছেন না শীতপ্রত্যাশী বাঙালিদের অনেকে।

তাপমাত্রা না-কমার পিছনে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ভূমিকাকেই দায়ী করছেন সঞ্জীব। তাঁর ব্যাখ্যা, দেশের দু’প্রান্তে দুই সাগরের ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ বারবার উত্তুর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি জানান, বর্তমানে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার ফলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়া মধ্যভারত পেরোতে পারছে না। ঘূর্ণাবর্তের টানে সে চলে যাচ্ছে আরব সাগরের দিকে। শুধু উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হাওয়ার দৌলতেই হিমেল ভাব মিলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement