আরও কিছুটা চড়ল পারদ। ছবি: পিটিআই।
পারদ বাড়ার সঙ্গে ফের বৃষ্টি প্রাপ্তি হতে চলেছে রাজ্যবাসীর। চলতি সপ্তাহের শেষে রাজ্যের পশ্চিম এবং উত্তরের কিছু জেলায় ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বেঁধেছে। তার জেরেই গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছে। এমন চলতে থাকলে বাতাস ভারী হওয়ায় শনি এবং রবিবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের কিছু জেলাতেও।
সাধারণ ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে এ রাজ্যে। তারপর থেকে পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়। শীত কমতে শুরু করে। কিন্তু এ বারে মকর সংক্রান্তির দিনে খুব একটা ঠান্ডা পড়েনি। বরং ওই দিন থেকেই পারদ চড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ৪৫ মিনিটে একবারই কথা বললেন রাজীব কুমার, ‘অবশ্যই’
আলিপুর সূত্রে খবর, একদিকে যেমন মধ্যপ্রদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে, তেমনই আবার কাশ্মীরের উপরে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা রয়েছে। তার ফলে উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। উত্তরে হাওয়ার দাপট নেই, তার উপর আকাশ পরিষ্কার। তাই সূর্যের কড়া রোদে দিনের বেলায় গরম ভাব অনুভূত হচ্ছে। হাওয়াতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। যা গরম অনুভূত হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। ফলে এই দুইয়ের জোড়া ফলায় রাজ্যে শীতের দাপট একেবারেই নেই বলা যায়।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্মে এ কেমন প্রশ্ন!
এ সময় বাইরে বেশি ক্ষণ গরম জামা গায়ে রাখা যাচ্ছে না। অল্প হাঁটাহাঁটি করলেও ঘাম দিচ্ছে শরীরে। যেটা শীতের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নয়। তবে দিনে যতটা গরম, রাতে ততটা নয়। রাতে এবং ভোরের দিকে শীত শীত ভাব রয়েছে।
আলিপুর জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, তা কেটে গেলেই ফের সামান্য কিছুটা পারদ নামবে। তবে শীত ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাত্ এক রাতের মধ্যে পারদ ২ ডিগ্রি উঠে গিয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার আসানসোলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৩ ডিগ্রি, বাঁকুড়ার ১৪.৫ ডিগ্রি, বর্ধমান ১৪.৮ ডিগ্রি এবং দার্জিলিঙের ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।