অন্ধকার হয়ে এসেছে চারিদিক। —নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই মেঘে ঢেকে ছিল আকাশ। বেলা বাড়তেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। আচমকাই অন্ধকারে মুড়ে যায় কলকাতার আকাশ। তার পরেই শুরু হয় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। কলকাতার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও একই পরিস্থিতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলা মিনিট দশেকের জন্য অন্ধকারে মুড়ে যায়। সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। এতটাই অন্ধকার যে, দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি বার করতে হয়েছে রাস্তায়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার খামখেয়ালিতেই এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার দিনভরই বৃষ্টির চোখরাঙানি থাকবে রাজ্য জুড়ে। সকাল থেকেই রয়েছে কুয়াশার দাপট, সঙ্গে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়েছে কোথাও কোথাও। এ দিন সকালে যেমন পশ্চিম বর্ধমান-সহ বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হয়েছে সকালের দিকে। দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গের প্রায় কোনও জেলাতেই সকাল থেকে রোদের দেখা মেলেনি। কুয়াশার জেরে উত্তরবঙ্গে দৃশ্যমান্যতা খুবই কম।
আরও পড়ুন: ওটা একটা কালো দিন, বললেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল
তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত কেটে গেলে মেঘ সরে গিয়ে ফের ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে। বৃষ্টি কেটে গেলে ফের নামবে পারদ। তবে পারদ নামলেও রাজ্যে আর কনকনে ঠান্ডা ফেরার সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা ১৩-১৪ ডিগ্রির ঘরেই ঘোরাফেরা করবে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার চেষ্টা গুয়াহাটিতে, ঝুলন্ত মহিলাকে বাঁচাল কলকাতা পুলিশ
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। আর বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম ছিল। তাই মেঘ করে থাকলেও দিনে খুব একটা গরম অনুভূত হয়নি। আজ দিনভর তাপমাত্রা এ রকমই থাকবে।
এ দিন অন্যান্য জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বাঁকুড়ায় ১৮.৭, দার্জিলিঙে ২.৮, জলপাইগুড়িতে ১১.২, পুরুলিয়া ১৮, শিলিগুড়ি ১০ এবং বীরভূমের শ্রীনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।