কুয়াশা: শিলিগুড়িতে মহানন্দা সেতুর উপরে। নিজস্ব চিত্র
কালিম্পংকে হারিয়ে দিচ্ছে বালুরঘাট। জলপাইগুড়িকে পিছনে ফেলে বীরভূমের শ্রীনিকেতন প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটককে। টক্করের এই খেলাটা শীতের, পারদ পতনের। সেই প্রতিযোগিতায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। অঙ্কের চুলচেরা বিচারে উত্তরবঙ্গের সমতলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে রাঢ়বঙ্গ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বীরভূমের শ্রীনিকেতন ৭.৮ ডিগ্রি। অর্থাৎ শ্রীনিকেতন এগিয়ে দশমিক-ভগ্নাংশের হিসেবে। গ্যাংটকে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৬ ডিগ্রি, তাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে শ্রীনিকেতন।
আবার পাহাড়ের কালিম্পংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি। শীতের টক্করে তাকে হারিয়ে দিয়েছে বালুরঘাট, সেখানে পারদ নেমেছে ৮.৫ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিসের খবর, পুরুলিয়া, পানাগড়ের মতো এলাকাও পিছিয়ে নেই।
পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি, পানাগড়ে ৮.২। পুরুলিয়াকে দশমিক-ভগ্নাংশে হারিয়ে পুরনো সেনা ছাউনি এলাকা ব্যারাকপুরের তাপমাত্রা নেমেছে ৯.৪ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিসের হিসেব বলছে, এ দিন খাস কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি। দমদমে (কলকাতা বিমানবন্দর) রাতের তাপমাত্রা থিতু হয়েছিল ১২ ডিগ্রিতে। উত্তরবঙ্গে বাগডোগরা, কোচবিহারের মতো এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় ডিগ্রির কাছাকাছি ছিল। দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, পানাগড়, বাঁকুড়া, বহরমপুর, কৃষ্ণনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, পৌষসংক্রান্তিতে শীতের দাপট মোটামুটি অক্ষুণ্ণ থাকবে। তবে সাগরদ্বীপে ধুন্ধুমার শীতের আশা কম। মাঘ মাসের গোড়ায় ফের এক দফা জোরালো শীতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহবিজ্ঞানীরা।