Weather Forecast

শীতের বিদায়ঘণ্টা, বসন্তের আগমনী

উত্তুরে বাতাস নেই। হাওয়ায় শুষ্ক ভাব থাকলেও থার্মোমিটারের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। তা হলে কি বসন্ত এসে গিয়েছে? আবহবিদেরা বলছেন, এ বার ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়বে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:০২
Share:

শীতের কলকাতা। ছবি শাটার স্টক।

এ বছরের মতো শীতের পালা শেষ — বলছেন আবহবিদেরা।

Advertisement

উত্তুরে বাতাস নেই। হাওয়ায় শুষ্ক ভাব থাকলেও থার্মোমিটারের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। তা হলে কি বসন্ত এসে গিয়েছে? আবহবিদেরা বলছেন, এ বার ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়বে। ধীরে ধীরে মিলবে দখিনা বাতাসও। বস্তুত, ফেব্রুয়ারি মাসের এই সময় থেকেই ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বসন্তের আনাগোনা শুরু হয়। এ বার অবশ্য ‘প্রেম দিবসের’ ঠিক আগেই বসন্তের হাজিরার কথা শোনা যাচ্ছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলছেন, হাওয়া অফিসের খাতায় বর্ষার মতো শীতের কোনও নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট নেই। তাই শীত বিদায় নিয়েছে, এমন কোনও সরকারি ঘোষণা করা হয় না। তবে এ কথা ঠিক যে তাপমাত্রা আর নামবে না। ইতিমধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। সে দিক থেকে বিচার করলে শীত ফুরিয়ে গিয়েছে বলা যায়।

Advertisement

আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদম ১৭.৮ ডিগ্রি। বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুরের মতো এলাকার রাতের তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে তুলনায় একটু বেশি ঠান্ডা। সেখানে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সেও তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।

এই সময়ে তাপমাত্রার হেরফেরে সর্দিকাশির প্রকোপ বাড়ে। হতে পারে জ্বরও। গত বছর করোনা আক্রমণের পর থেকে এই ধরনের রোগগুলি নিয়ে আশঙ্কা ও ভীতি বেড়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ

সময়ে দিনের বেলা গরম লাগলেও গভীর রাত বা ভোরে ঠান্ডা লাগে। সামান্য অসাবধানতাবশত শরীর অসুস্থ হতে পারে। তাই বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। ঠান্ডা পানীয়, রাতে এসি চালানো ইত্যাদি থেকে আপাতত বিরত থাকাই শ্রেয় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement