নিজস্ব চিত্র।
এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। আমপানের (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন) তাণ্ডবে সুন্দরবন-সহ দুই ২৪ পরগনায় লন্ডভন্ড অবস্থা। এখনও ক্ষত স্পষ্ট সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায়। খড়কুটো ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। ফের সুন্দরবন-সহ দুই ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিতে সিদুঁরে মেঘ দেখেছেন এলাকাবাসীরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, বিশেষ করে উপকূল এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় এক দফা ভারী বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে এই তিন জেলায়। কলকাতার উপর দিয়ে ৯৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়েছে কালবৈশাখী। দমদমে হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৬ কিলোমিটার। সন্ধ্যার পর ভারী বৃষ্টি হলেও এখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলছে এই তিন জেলায়। সঙ্গে চলছে দমকা হাওয়াও। আলিপুর হাওয়া অফিস সতর্ক করে জানিয়েছে, রাতেই সুন্দরবন এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে চলবে বৃষ্টিও।
বিহার থেকে মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। ক্রমেই তা দক্ষিণবঙ্গের দিকে সরে আসছে। ফলে গাঙ্গেয় জেলাগুলোতে আগামী দু-এক দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া এবং দুই মেদিনীপুরে। অন্য দিকে, দক্ষিণ-পশ্চিমী বায়ুর প্রভাবে গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে।
আরও পড়ুন: বাংলার করোনাপরিস্থিতি বিগড়োলে কে দায় নেবে? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ মমতার
দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, কুলতলি, গোসাবা হিঙ্গলগঞ্জ, মৈপীঠ, সাগর প্রভৃতি জায়গায় আমপানের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নোনা জল ঢুকে ক্ষতি হয়েছে চাষেরও। পানীয় জলের সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা চলছে। এরই মধ্যে এই বৃষ্টিপাতের শঙ্কা আরও দুর্ভোগ বাড়াতে পারে। এই নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি আরও দক্ষিণে চলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহবিদরা। তবে এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না আগামী কয়েক দিন কতটা বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষা কোন পথে: ৮ উপাচার্যের রাউন্ড টেবল ওয়েবিনার ৩০ মে