ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
অবশেষে গাঙ্গেয় বঙ্গের বাসিন্দাদের আশ্বাসবাণী শোনাল আলিপুর হাওয়া অফিস! শনিবার তারা জানিয়েছে, গত ক’দিন ধরে গোটা দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের একাংশ জুড়ে চলা প্রচণ্ড দহন এ বার কিছুটা হলেও কমতে চলেছে। ঝড়বৃষ্টির পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে। তবে এ দিনও বহরমপুরে তাপপ্রবাহ বয়েছে।
আজ, রবিবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৮টি কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন। ওই জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা ছিল। ফলে ভোটার ও ভোটকর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়েও দুশ্চিন্তা দানা বাধছিল। কিন্তু হাওয়া অফিসের খবর, শনিবার সব জায়গাতেই পারদ কিছুটা নেমেছে। আজ, রবিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ফলে গরম থাকলেও তা মারাত্মক আকার নেবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
সাধারণত, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (যদি সেটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হয়) স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি হলে তাকে তাপপ্রবাহ বলা হয়। হাওয়া অফিসের খবর, এ দিনও বহরমপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। তবে বাকি কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহ বইতে দেখা যায়নি। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাঁকুড়া ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পুরুলিয়া ৪১.৩, মেদিনীপুর ৩৯.১ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গের মালদহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৯.২ ডিগ্রিতে। এ দিন তাপমাত্রা মাত্রাছাড়া না হলেও কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় আর্দ্রতা ছিল। তার ফলে অস্বস্তিও ভালই মালুম হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, ‘‘রবিবার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। সোমবার থেকে রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঝড়বৃষ্টির জন্য গরম হাওয়া বইছে না। বিহারের উপরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় সেখানের আকাশ মেঘ তৈরি হয়েছে। তাই পশ্চিম দিক থেকে গরম বাতাস এ রাজ্যে ঢুকছে না। তার ফলেই তাপের প্রবাহ বন্ধ হতে চলেছে।
হাওয়া অফিসের খবর, ফণীর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় উধাও হয়েছিল। তাও ফের দানা বাধছে। তার ফলেই জোলো হাওয়া ঢুকছে গাঙ্গেয় বঙ্গের পরিমণ্ডলে। গ্রীষ্মে কালবৈশাখীর মেঘের জন্য পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প প্রয়োজন। সেটাই জোগান দেবে নয়া উচ্চচাপ বলয়টি। আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি থাকবে।