ছবি: এএফপি।
জুলাই মাসে একটিও নিম্নচাপ জোটেনি গাঙ্গেয় বঙ্গের কপালে। অগস্টে বঙ্গোপসাগরে একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে বটে। কিন্তু তা দক্ষিণবঙ্গকে সে ভাবে বৃষ্টি জোগাচ্ছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ ফের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ দানা বাঁধতে চলেছে। কিন্তু সেটিও এ রাজ্যে জোরালো বৃষ্টি দেবে না বলেই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘নিম্নচাপের যেটুকু প্রভাব তা পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় পড়তে পারে।’’ মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ১ জুন থেকে এ দিন পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গের বৃষ্টির ঘাটতি ৭ শতাংশ। কিন্তু জুলাই বা অগস্টে ঘাটতি অনেকটাই। যার পিছনে আবহবিদেরা মৌসুমি অক্ষরেখার অবস্থান ও নিম্নচাপের ঘাটতির কথা বলছেন। সঞ্জীববাবু জানান, জুলাইয়ের প্রায় পুরোটাই মৌসুমি অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশে ছিল। তাই উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হলেও গাঙ্গেয় বঙ্গ বঞ্চিত হয়েছে। আবহবিদেরা জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হলেই তার টানে অক্ষরেখা গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে থিতু হয় ও তা জোরালো বর্ষা এনে দেয়। আবহবিদদের একাংশ বলছেন, অগস্টের গোড়ায় নিম্নচাপ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা থেকে এসেছিল। তার জেরে এক দিন জোরালো বৃষ্টি হয়। কিন্তু তার পরে যে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তা ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশকেই বৃষ্টি জুগিয়েছে। বঙ্গোপসাগরীয় নিম্নচাপের এই চরিত্র আবহবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছে।
এটা কি এক বছরের খামখেয়ালিপনা নাকি জলবায়ু বদলের ইঙ্গিত, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।