Weather

মুষলধারে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, জলমগ্ন কলকাতা

আগামিকাল বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি আরও স্পষ্ট হতে পারে, তার প্রভাবে এ রাজ্য এবং ওড়িশায় বৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ১৫:৫৩
Share:

শহরের একাধিক রাস্তা এ ভাবেই জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ছবি: সিজার মণ্ডল।

বর্ষা এখনও পা রাখেনি এ রাজ্যে। তার আগেই রবিবার মুষলধারে বৃষ্টি নামল শহর কলকাতায়। দিন ভর ভ্যাপসা গরম থাকলেও, দুপুর থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। বিকেল চারটে নাগাদ আকাশ কালো হয়ে আচমকাই আঁধার নেমে আসে শহরে। তার পরই বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ায় বইতে শুরু করে।

Advertisement

একটানা মিনিট চল্লিশ ধরে প্রবল বৃষ্টির জেরে এ দিন জল জমে যায় কলকাতার পার্কস্ট্রিট, চাঁদনিচক-সহ একাধিক রাস্তায়। সেই জল ভেঙেই এগোতে দেখা যায় হাতেগোনা দু’একটি গাড়িকে। তবে শুধুমাত্র শহর কলকাতাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, নদিয়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং দুই ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জেলাতেও এ দিন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

এ বছর বৈশাখ মাস জুড়ে গরম তেমন মালুম হয়নি। কিন্তু জ্যৈষ্ঠের শেষে এসে গত দু’দিন ধরেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। এর মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়ছে বর্ষা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের হাত ধরে আগামী সপ্তাহেই এ রাজ্যে বর্ষার আগমন ঘটে যেতে পারে।

Advertisement

জল ভেঙে এগোচ্ছে গাড়ি। ছবি: সিজার মণ্ডল।

আরও পড়ুন: ভারতে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে আগামী ২-৩ মাসে, হুঁশিয়ারি এমস-এর অধিকর্তার

আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আগামিকাল বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি আরও স্পষ্ট হতে পারে, তার প্রভাবে এ রাজ্য এবং ওড়িশায় বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে সাধারণত ৮ জুন বর্ষা ঢুকে যায়। এই সময় কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে, বর্ষার আগমনের রাস্তা আরও প্রশস্ত হয়।

তাই বঙ্গেপসাগের তৈরি হওয়া নিম্নচাপটির হাত ধরেই এ রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ দিন সকাল থেকেই শহর কলকাতায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাতির পর এ বার গর্ভবতী গরু, হিমাচলে খাওয়ানো হল বিস্ফোরক ভরা খাবার

গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। এ দিন সর্বনিম্ন কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল, ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি।

এ দিন বাতাসে সর্বোচ্চ আর্দ্রতার হার ছিল ৮৬ শতাংশ। সর্বনিম্ন আর্দ্রতার হার ছিল ৪৪ শতাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement