নবমীর দুপুরে কলকাতার পুজোমণ্ডপে ছাতা মাথায় দর্শনার্থীরা। ছবি: পিটিআই।
নবমীর দুপুর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেই বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা এবং রাতেও ভিজতে পারে ছ’টি জেলা। তেমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সে ক্ষেত্রে ‘নবমী নিশি’র আনন্দ মাটি হতে পারে বহু মানুষের।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সোমবার এবং মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ছ’টি জেলায় রয়েছে হলুদ সতর্কতা। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে নবমীতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি বাড়বে দশমীতে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার অর্থাৎ দশমীর দিন তিনটি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দু’একটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতাতেও বৃষ্টি চলবে। তবে এই মুহূর্তে দক্ষিণের বাকি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে তার দূরত্ব ৩৬০ কিলোমিটার। দিঘা থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে নিম্নচাপ। বাংলাদেশের খেপুপারা থেকে এর দূরত্ব ৬৬০ কিলোমিটার।
এই নিম্নচাপ থেকে আগামী ছয় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সেটি ক্রমে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশের খেপুপারা এবং চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তবে স্থলভাগে প্রবেশের সময় শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও হাওয়ার বেগ হতে পারে ৬০ কিলোমিটারও। এর ফলে ২৩ তারিখ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাঁদের জন্য জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।