স্কুল সার্ভিস কমিশনের কার্যালয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। ফাইল ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মামলাকারীর আইনজীবী। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ২০১৬-য় নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগের তালিকা জমা দেয়। তার সঙ্গে নিজেদের তালিকা মিলিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবে এসএসসি। ২৮ সেপ্টেম্বর সেটা জমা দেওয়ার কথা হাই কোর্টে।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই তিন পক্ষকে বৈঠকে বসে নিয়োগ তালিকা তৈরি করে তা আদালতে জমা দিতে হবে। সেই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার এসএসসি কার্যালয়ে বৈঠকে বসলেন মামলাকারীর আইনজীবী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী এবং কমিশনের আইনজীবী। হাজির ছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। বৈঠকে উপস্থিত সব পক্ষের হাতেই ২০১৬-য় নবম-দশমে নিয়োগের তালিকার প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়। সেই তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার নাম।
এসএসসি নিজের তালিকার সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তালিকা মিলিয়ে দেখে একটি নতুন তালিকা তৈরি করবে। তার পর ২৮ সেপ্টেম্বর তা হাই কোর্টে জমা দেওয়ার কথা। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘এসএসসি এই তালিকা খতিয়ে দেখবে এবং আমাদের কাছে যে তালিকা রয়েছে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে একটি পৃথক রিপোর্ট তৈরি করা হবে। ২৮ তারিখ সেই রিপোর্টই হাই কোর্টে জমা দেওয়া হবে।’’
বুধবার, এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বেআইনি নিয়োগের হিসেব চান এসএসসি এবং সিবিআইয়ের কাছে। দুই সংস্থার কাছেই নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বেআইনি নিয়োগের তালিকা চেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বেআইনি ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বরখাস্ত করা হবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসএসসি এবং সিবিআইকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।