ফাইল চিত্র।
স্রেফ সরকারি প্রকল্প বা আইনি ব্যবস্থাই সব নয় বলে মনে করছে রাজ্য। কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্র ভাতের হোটেল, ধাবা থেকে দোকান, আবাসনে শিশু শ্রম রোধে উৎসাহও দিচ্ছে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
সম্প্রতি কলকাতার পার্ক সার্কাসের জনপ্রিয় বিরিয়ানি চেনের মূল রেস্তরাঁটি শিশু শ্রম মুক্ত বলে নিশ্চিত হয়ে শংসাপত্র দিয়েছে কমিশন। ওই রেস্তরাঁটির (আরসালান) তরফে এই নীতি ভবিষ্যতেও মেনে চলার আশ্বাস দেওয়া হয় কমিশনকে। শিশু শ্রম মুক্ত স্থান বলে চিহ্নিত করে রেস্তরাঁটিতে একটি স্বীকৃতি ফলকও (প্লাক) দেওয়া হয়েছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলছিলেন, “শিশু শ্রম বন্ধের অভিযান চালানোর পাশাপাশি এই ধরনের স্বীকৃতিও জরুরি। আবাসনগুলি নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।”
করোনাকালের পরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শিশু শ্রমের দাপট বাড়ার বিষয়টি মেনেই নিচ্ছেন রাজ্যের শ্রম দফতরের কর্তারা। তাই এমন উদ্যোগ জরুরি বলে ভাবা হচ্ছে। কোভিড পর্বের আগেই শান্তিনিকেতনে পৌষমেলায় দোকানে ঘুরে কারা শিশু শ্রম মুক্ত তা জরিপ করেছিল কমিশন। তখনও মেলার শিশু শ্রম মুক্ত দোকানগুলি চিহ্নিত করে বোর্ড ঝুলিয়ে দেয় কমিশন। অনন্যা বলছিলেন, “ভবিষ্যতে বিভিন্ন মেলায় ছোটদের দিয়ে কাজ করিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে।”
অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু শিশু শ্রমের খবর সময় মতো পৌঁছয় না। শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্য যশোবন্তী শ্রীমানি বলছিলেন, “বীরভূম, পুরুলিয়ার মতো জেলায় শিশু শ্রম বিরোধী প্রচারে সরকারের সম্ভাব্য সহযোগী চিহ্নিত করে সচেতনতার কাজ চলছে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।