প্রতীকী ছবি।
হুল দিবসে পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বুধবার রাতে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কোনও স্কুলে পার্বিক পরীক্ষা (পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন) থাকলে তা বাতিল করতে হবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই কোনও এক দিন ওই বাতিল হওয়া পরীক্ষা নিয়ে নিতে হবে স্কুলগুলিকে। রাতে জারি হওয়া এই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে সব স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রথম পার্বিক পরীক্ষা গত ২৮ জুন থেকে শুরু হয়েছে। পর্ষদের নির্দেশ, আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন পর্ব শেষ করতে হবে স্কুলগুলিকে। সেই নির্দেশ মেনেই তৈরি হয়েছিল পরীক্ষার সূচি। হুল দিবস নিয়ে পর্ষদের তরফে আগে থেকে কোনও বার্তা না মেলায় বহু স্কুলই বৃহস্পতিবার পরীক্ষা ফেলেছিল। বুধবার রাতে সেই সব পরীক্ষা স্থগিত করতে বলল পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে, কোনও স্কুলই বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ৩০ জুন পরীক্ষা নিতে পারবে না। পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত হলে তা-ও স্থগিত করতে হবে। ৬ জুলাইয়ের আগে অন্য কোনও দিন ওই পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
বুধবারই হুল দিবসে স্কুল ছুটির ঘোষণা করেছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সংসদের তরফে। কিন্তু তখনও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে এ রকম কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছিল স্কুলগুলি। হুল দিবসে ছুটি এবং পরীক্ষা বাতিল নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই এর পর রাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পর্ষদ।
প্রসঙ্গত, হুল দিবস হল সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিন হিসাবে গণ্য করা হয় ৩০ জুনকে। ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ বা ‘সান্তাল হুল’-এর সূচনা হয়।