ভারতের ক্রিকেটার ওয়াশিংটন সুন্দর। ছবি: এএফপি।
মেলবোর্নের পর সিডনি। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হওয়ার ভূত পিছু ছাড়ছে না ভারতের। এ দিন ওয়াশিংটন সুন্দরের আউট হওয়া নিয়ে ভারতীয় শিবিরে ক্ষোভ রয়েছে। মাঠের মধ্যেই বিরক্ত হয়ে আম্পায়ারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ। আউট হওয়ার পর হতভম্ব ওয়াশিংটন অনেক বার মাথা নাড়িয়ে সাজঘরে ফেরার পথ ধরেন।
মাঠের আম্পায়ার শরফুদৌল্লা সৈকত নট আউট দেওয়ার পরেও অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেয়। তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসন আউট দেন। ওয়াশিংটন সেই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান। ক্যামেরায় অন্তত ১৮ বার মাথা নাড়াতে দেখা গিয়েছে অলরাউন্ডারকে। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে তাঁকে আউট দেওয়া হয়েছে।
নন স্ট্রাইকার ছিলেন বুমরাহ। তিনিও সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠের আর এক আম্পায়ার মাইকেল গফকে তিনি বলেন, “আগের ম্যাচে স্নিকোমিটারে দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও আউট দেওয়া হয়নি। আর এখন...।” তিনি মেলবোর্নে যশস্বী জয়সওয়ালের আউট হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আনেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ৬৬তম ওভারের শেষ বলে আউট হন ওয়াশিংটন। কামিন্সের বল ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। সেই বলে পুল মারতে যান ওয়াশিংটন। তাঁর গ্লাভস ঘেঁষে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারের হাতে। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেয়। সেখানে তৃতীয় আম্পায়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের উইলসন আউট দেন। বার বার রিভিউ দেখেন তিনি। স্নিকোমিটারেও বড় ‘স্পাইক’ আসে। তবে বল আদৌ গ্লাভসে লেগেছে কি না তা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়নি। তবুও মাঠের আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত বদল করতে বলেন তৃতীয় আম্পায়ার।
স্নিকোমিটারে যে ‘স্পাইক’ দেখা গিয়েছে তা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। কারণ বল গ্লাভসে লাগার আগে এবং পরেও স্পাইক ছিল। গ্লাভস ছুঁয়ে বল পেরিয়ে যাওয়ার পর বড় স্পাইক দেখা যায়। সেই কারণেই ওয়াশিংটনকে আউট দেন তৃতীয় আম্পায়ার। কিন্তু ভিডিয়ো দেখে বলা কঠিন হয় বল আদৌ গ্লাভসে লেগেছিল কি না।
মেলবোর্নে যশস্বীর ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন শরফুদ্দৌলা। তিনি ভিডিয়োয় দেখেছিলেন বল গ্লাভস ছুঁয়েছে। সেই কারণে আউট দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দেখা গেল উল্টো ঘটনা। স্নিকোমিটারের তথ্যকে প্রাধান্য দিয়ে ওয়াশিংটনকে আউট দিলেন উইলসন। দু’ক্ষেত্রেই আউট ভারতীয় ব্যাটার।