—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাত্র দশ টাকা!
আগামী বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে, তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এক এক জনকে ওই টাকা দেওয়া হবে বলে শুক্রবার রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ!
কী হবে দশ টাকায়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক থেকে শিক্ষকেরা! এক শিক্ষকের দাবি, এক এক জনকে একটি করে সস্তার পেন দেওয়া যেতে পারে। এর বাইরে আর কিছু দেওয়া বা করার কথা মাথায় আসছে না বেশিরভাগ শিক্ষকেরই।
২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী। যার অর্থ, সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে পর্ষদ। পরীক্ষার্থী-প্রতি দশ টাকায় কী হবে? পর্ষদের এক কর্তার দাবি, ‘‘এই টাকা মাথা-পিছু কম বলে মনে হলেও সার্বিক ভাবে যদি কোনও স্কুলে ৩০০ জন পরীক্ষা দেয়, তা হলে তিন হাজার টাকা হচ্ছে। সার্বিক ভাবে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য স্কুল থেকে কিছু ব্যবস্থা করা যেতেই পারে।’’
শুক্রবার সন্ধ্যায় যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পর্ষদ, সেখানে লেখা আছে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য স্কুলগুলি বিভিন্ন ব্যবস্থা করে। তার জন্য খরচও হয়। স্কুলকে সাহায্য করার জন্যই পরীক্ষার্থীদের মাথা-পিছু দশ টাকা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের কথায়, ‘‘যদি ধরে নিই, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হয়, সেই ক্লাসে টিফিনের ব্যবস্থা করার জন্য এই অনুদান, তা হলেও তো দশ টাকায় এক দিন একটা সন্দেশের বেশি কিছু মিলবে না। আর পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তো এক দিন ক্লাস নেওয়া হয় না। বেশ কয়েক দিন নেওয়া হয়।’’
শিক্ষকদের প্রশ্ন, পরীক্ষার দিন কোনও পরীক্ষার্থী রিকশায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে চাইলে ওই টাকায় তা সম্ভব হবে? প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘খুবই হাস্যকর একটা বিষয়। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়ে একটা ডাবও দেওয়া যাবে না এই দশ টাকায়। ছোট এক বোতল জল হতে পারে।’’
পর্ষদ জানিয়েছে, ছাত্র-পিছু দশ টাকা দেওয়া হবে স্কুলের তহবিলে। অর্থাৎ কোনও স্কুলে যদি ১০০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী থাকে, তা হলে ওই স্কুল পাবে এক হাজার টাকা।