—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সবেতন ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আগামী শনিবার রাজ্যের ২২টি জেলার যে সব এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে, সেই সকল এলাকায় রাজ্য সরকারের সব অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকান, কলকারখানা-সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে।
আগেই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্যের শ্রম দফতর। পরে ওই বিজ্ঞপ্তির কথা উদ্ধৃত করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ২২টি জেলার জেলাশাসকের কাছে নোটিস পাঠানো হয়। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সবেতন ছুটি দেওয়ার বিষয়টি মঞ্জুর করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। রাজ্যের পুরসভা এলাকায় কর্মসূত্রে থাকেন, অথচ পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার— এমন ব্যক্তিদেরও সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সবেতন ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের পাশাপাশি বেসরকারি কর্মচারীরাও। মনে করা হচ্ছে, ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই ছুটি দেওয়া হয়েছে। বেতন কাটার আশঙ্কায় যাতে কোনও কর্মচারী ভোটদানে গরহাজির না থাকেন, সে কারণে সবেতন ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের ২০টি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদ আসনে এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কেবল গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির আসনে আগামী শনিবার নির্বাচন হতে চলেছে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো ৮২২ কোম্পানি দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে রাজ্যে। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের পরেই একাধিক দফায় ভোটের সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছিল। কিন্তু তা নিয়ে জট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গলায় কাঁটার মতো বিঁধেছিল। কারণ, রাজীব সিংহের নেতৃত্বাধীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই এক দফায় ভোটের পক্ষেই সওয়াল করে এসেছে। বুধবার তাতেই সিলমোহর দেয় হাই কোর্ট। জানিয়ে দেয়, পঞ্চায়েত ভোট এক দিনেই হবে। শুধু তা-ই নয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই রায় দেয় উচ্চ আদালত।