ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের জন্য সুখবর দিল রাজ্য সরকার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছেন? তা হলে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। করোনাকালে সাধারণ মানুষকে জমি, বাড়ি কেনায় উৎসাহ দিতে স্ট্যাম্প ডিউটিতে দুই শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পরবর্তী সময়ে সেই সুবিধার মেয়াদ আরও বাড়়িয়েছিল নবান্ন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেই ছাড় ২০২৪ সাল পর্যন্ত জারি রাখার নির্দেশনামা জারি করল রাজ্য সরকারের রাজস্ব দফতর। পাশাপাশি, জমি, বাড়ি-সহ স্থাবর সম্পত্তির ‘সার্কল রেট’-এর উপর প্রদেয় ১০ শতাংশ ছাড়ও অব্যাহত থাকবে।
করোনাকালে মুখ থুবড়ে পড়েছিল জনজীবন। তার প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছিল অর্থনীতির উপর। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তলানিতে এসে ঠেকায় সম্পত্তি থেকে পণ্য— কমছিল সব কিছুরই বিক্রি। চ়ড়চড় করে বৃদ্ধি পেয়েছিল কাঁচামালের দাম, পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল গৃহঋণে সুদের হারও। এর ফলে ফ্ল্যাটের বিক্রি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে তথা সাধারণ মানুষকে খানিকটা রেহাই দিতে রাজ্য সরকার জমি, বাড়ি কেনার স্ট্যাম্প ডিউটিতে দুই শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। একই সঙ্গে সার্কল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া চলছিল। করোনাকাল কেটেছে ঠিকই, কিন্তু সামগ্রিক অর্থনীতি এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে স্ট্যাম্প ডিউটিতে দুই শতাংশ এবং সার্কল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। শুক্রবার, রাজ্যের অর্থ দফতরের রাজস্ব বিভাগ একটি নির্দেশনামা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই ছাড় পাবেন জমি, বাড়ির ক্রেতারা। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাসেই এই ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, জনস্বার্থ তথা সাধারণ বাড়ি ক্রেতাদের সুরাহা দিতে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং সার্কল রেটে ছাড় অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জমি, বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে জমি বা ফ্ল্যাটের দামের উপর নির্ধারণ করা হয় স্ট্যাম্প ডিউটি। কোনও এলাকায় জমি বা সম্পত্তি সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম যে দামে নথিভুক্ত হয়, তাকে বলে সার্কল রেট। এই জোড়া খরচ কমলে স্বাভাবিক ভাবেই ফ্ল্যাট, বাড়ি বা জমির দামও কমবে, এমনই ধারণা নবান্নের।