West Bengal Election Commission

আসন সংরক্ষণ: কাজ শেষের নির্দেশ এ মাসে

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নভেম্বরের মধ্যে এই কাজগুলি সেরে রাখা গেলে, ভোট-প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। সূচি মানলে আগামী বছরের মে মাসে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২ ০৮:০৯
Share:

রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফাইল চিত্র।

চলতি মাসের মধ্যেই সীমানা পুনর্বিন্যাস (ডিলিমিটেশন) ও আসন সংরক্ষণের খসড়ার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি সমস্ত জেলা প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনের কাছে।

Advertisement

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নভেম্বরের মধ্যে এই কাজগুলি সেরে রাখা গেলে, ভোট-প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। সূচি মানলে আগামী বছরের মে মাসে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যদি ভোট এগিয়ে আনার পক্ষে কাজ করে, তা হলেও সমস্যা হবে না। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, জানুয়ারি নাগাদই ভোট সেরে ফেলতে আগ্রহী সরকারের একাংশ।

পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত ইঙ্গিত এখনও নেই। তবে আগে থেকেই জেলায়-জেলায় আসন সংরক্ষণ এবং এলাকা পুনর্বিন্যাসের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছিল, ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিলিমিটেশন এবং আসন সংরক্ষণের কাজ ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন ১৯ অক্টোবরে বেঁধে দিয়েছে কমিশন। জেলা কর্তাদের অনেকের বক্তব্য, খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে অন্তত কিছুদিন মানুষের মতামত গ্রহণের জন্য নির্ধারিত থাকবে। এই সব প্রক্রিয়ার শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। প্রসঙ্গত, আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ভোটারসংখ্যাকে ৯০০ দিয়ে ভাগ করা হয়, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে মোট ভোটারসংখ্যা বিভাজিত হয় ৪,৫০০ দিয়ে এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ৬০,০০০ দিয়ে।

Advertisement

সর্বস্তরে অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত জনসংখ্যার পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। ভোট-বিশেষজ্ঞদের অনেকে জানাচ্ছেন, আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি জনজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) জনসংখ্যার নিখুঁত তথ্য প্রয়োজন হয়। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, ২০১২ সালে ‘সোশিও-ইকনমিক কাস্ট সেন্সাস’-এর তথ্য রাজ্যের হাতে রয়েছে। ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে সেই তথ্যের উপরে ভিত্তি করে তৈরি সংরক্ষণ তালিকা মেনে। কিন্তু গত প্রায় ১০ বছর এমন সমীক্ষা হয়নি। তাই এ বার তা করাতে হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement