কমিশনে তৃণমূল নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, মমতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হামলা চালানো হয়েছে। কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে যান তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। সেখানে তাঁরা নিজেদের অভিযোগে কিছু বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন, ঘটনার আগে নিজের ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার ইঙ্গিত করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘটনার সময় সেখানে কোনও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলেও অভিযোগ তৃণমূলের।
তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিজেপি-র তরফে বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মেনে ডিজিকে সরিয়েও দেয় কমিশন। এই সিদ্ধান্তের আগে একবারের জন্য ও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।
কমিশনের কাছে তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার আগে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও বাবুল সুপ্রিয়র সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে পরিষ্কার মুখ্যমন্ত্রীর উপরে হামলা করার চক্রান্ত ছিল আগে থেকে। এমনকি, এই ঘটনার পরে স্থানীয় যে দুই বাসিন্দা বলেছিলেন যে একটি লোহার খুঁটির সঙ্গে মমতার গাড়ির ধাক্কা লেগেছে সেই দু’জন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। শুভেন্দুর সঙ্গে তাদের ছবিও কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে তৃণমূল।
নিজেদের অভিযোগের সপক্ষে তথ্য প্রমাণও দাখিল করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির বাইরে কোনও লোহার খুঁটিতে ধাক্কা লাগার চিহ্ন নেই— এমন দাবি জানিয়ে সেই ছবিও জমা দিয়েছে তৃণমূল।
অভিযোগ জানিয়ে কমিশন থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি পোস্টে ধাক্কা মারেনি। মমতার আঘাত দুর্ঘটনা নয়, চক্রান্ত। জোর করে গাড়ির দরজা বন্ধ করা হয়েছে। পরে লোকেদের দিয়ে বলানো হয়েছে অন্য কথা।”
তিনি আরও বলেন, “রিপোর্ট লেখা যথেষ্ট নয়, তদন্ত চাই। মোদীর বক্তৃতা, দিলীপ আর সৌমিত্রের টুইটের উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। কমিশন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।”