West Bengal Board Primary Education

চাকরি বাতিলের নির্দেশে শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশ, নদিয়ায় শিক্ষকদের কাজে ফেরাচ্ছে পর্ষদ

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন। চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০৯
Share:

নদিয়ায় যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল, এ বার তাঁদের পুনরায় যোগদানের নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ছবি: প্রতীকী

হাই কোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছিল ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের। সুপ্রিম কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। নদিয়ায় যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল, এ বার তাঁদের পুনরায় যোগদানের নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নদিয়া জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এই মর্মে সোমবার চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন। ওই ২৬৯ জনকে একটি ভুল প্রশ্নের জন্য এক নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। ওই এক নম্বর পাইয়ে দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ ওঠে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। যদিও তাঁদের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওই ২৬৯ জন আবেদন করেছিলেন। তার ভিত্তিতে সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে একটি ভুল প্রশ্নের জন্য এক নম্বর দিয়ে তাঁদের টেট পাশ করিয়ে চাকরি দেয়। কোনও প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীকে এই সুবিধা দেওয়া হয়নি।

হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়, ২৬৮ জনকে ওই মামলায় যুক্ত করতে হবে। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে তাঁদের প্রমাণ করতে হবে যে, বৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। ২৬৯ জনের মধ্যে এক জন ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এই রায়ের পর আবারও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২৬৮ জন প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার চাকরিতে যোগদান করতে দিচ্ছে না। তাঁদের পুনরায় চাকরিতে যোগদান করতে দেওয়া হোক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ নভেম্বর। এর মধ্যেই নদিয়া জেলায় চাকরি বাতিল হওয়াদের পুনরায় কাজে বহালের নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement