Dilip Ghosh

বিজেপি-তে জল্পনা, কে হবেন বিরোধী দলনেতা, শুভেন্দু? মুকুল? নাকি পরিবার-ঘনিষ্ঠ কেউ?

প্রাথমিক দৌড় যে শুভেন্দু এবং মুকুলের মধ্যে, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে সকলেই একমত। এখন দেখার, দিলীপ তাঁর ঝুলি থেকে তৃতীয় কাউকে বার করেন কি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২১ ১৩:২৫
Share:

শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।

কে হবেন বিরোধী দলনেতা? শুক্রবার থেকে সেই প্রশ্নে রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে শুরু হয়েছে মহামন্থন। শুভেন্দু অধিকারী না মুকুল রায়? নাকি তৃতীয় কেউ?

Advertisement

দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, দৌড়ে আপাতত এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। কারণ, প্রাথমিক ভাবে তিনি ‘জায়ান্ট কিলার’। নন্দীগ্রামে হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দুকে ‘জননেতা’ বলে মেনেও নিয়েছেন বিজেপি-র শীর্ষনেতৃত্ব। দলের অন্দরে কিছু লোকজন বলছেন, শুভেন্দুর ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও বিবেচনায় রয়েছে। বিধানসভার অন্দরে বিপুল ভাবে জিতে ক্ষমতায় আসা শাসকদলের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই দিতে পারবেন বলেই মনে করছে দলের ওই অংশ। তবে শুভেন্দুর পাশাপাশি উঠে আসছে মুকুলের নামও। কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন মুকুল। যিনি একদা তৃণমূলের অঘোষিত দু’নম্বর ছিলেন। জীবনে এই প্রথম ভোট জিতলেও সংগঠক হিসেবে মুকুলের অভিজ্ঞতা নেহাত কম নয়। কিন্তু আইনসভার সদস্য হিসেবে তিনি কতটা কার্যকরী হবেন, তা নিয়ে বিজেপি-র অন্দরে একটা আলোচনাও চলছে। কারণ, দু’টি পর্যায়ে রাজ্যসভার সদস্য থাকলেও মুকুল সেখানে বক্তা হিসেবে খুব দাগ কেটেছেন, তথ্য এমন বলে না। আবার মুকুলের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, মেঠো রাজনীতিতে শুভেন্দু অবশ্যই এগিয়ে। কিন্তু পরিষদীয় রাজনীতি করতে গেলে অভিজ্ঞতা, ধৈর্য ও রাজনৈতিক জ্ঞান থাকা জরুরি। পাঁচ বছর ধরে বিধানসভার অন্দরে মমতার সঙ্গে লড়াই করার মতো ধৈর্য বর্ষীয়ান মুকুলের আছে।

আবার রাজ্য বিজেপি-র একটি সূত্রের দাবি— তৃণমূল থেকে আসা মুকুল-শুভেন্দু কাউকেই বিরোধী দলনেতার পদে চাইছেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি চান সঙ্ঘ পরিবার-ঘনিষ্ঠ কাউকে বিরোধী দলনেতা করা হোক। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্তরায় অভিজ্ঞতা। যে ৭৭ জন বিধায়ক হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্রই হাতে-গোনা কয়েকজনের পরিষদীয় রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। ২০১৬ সালে বিজেপি-র যে তিনজন বিধায়ক জিতেছিলেন, তাঁদের একজন মনোজ। দিলীপ সংসদে চলে যাওয়ার পর বিধানসভায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই। পরিষদীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, জয়পুরে জয়ী নরহরি মাহাতো এবং গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের। রয়েছেন কোচবিহারের নাটাবাড়ি থেকে জয়ী মিহির গোস্বামী। তিনি ২৩,০০০ ভোটে প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে হারিয়েছেন।

তবে প্রাথমিক দৌড় যে শুভেন্দু এবং মুকুলের মধ্যে, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে সকলেই একমত। এখন দেখার, দিলীপ তাঁর ঝুলি থেকে তৃতীয় কাউকে বার করেন কি না। কারণ, যাঁদের নাম নিয়ে আলোচনা, তাঁদের দু’জনের সঙ্গেই দিলীপের সম্পর্ক যথেষ্ট ‘মধুর’। ফলে তাঁদের বিরোধী দলনেতা হিসেবে মনোনয়নে দিলীপের শংসাপত্র এলে তা কৌতূহলের বিষয় হবে বৈকি!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement