অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্পিতা ঘোষ
রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নয়, এ বার বাংলায় থেকে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে চান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন অর্পিতা ঘোষ। বুধবারই তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্রও দিয়ে এসেছেন। ২০২৬ পর্যন্ত সাংসদ পদের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও কেন এত আগেই ইস্তফা দিলেন অর্পিতা, তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই প্রকাশ্যে এল অভিষেককে লেখা তাঁর ওই চিঠি।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘কী ভাবে দলের কাজ করব, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর এই বিষয়টি নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করেছি। আমায় যদি বাংলায় দলের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সাংসদ পদে না থেকে সেই কাজ করতে আমি বেশি আগ্রহী। আমার লক্ষ্য স্পষ্ট। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই আমি। আমার মনে হয়, রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় এসে কাজ করতে পারলেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
২০১৪ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতেছিলেন অর্পিতা। গত লোকসভায় হেরে যাওয়ার পর তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯-এর মে মাসে তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়। তার জন্য দলের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে চিঠির শুরুতেই অর্পিতা লেখেন, ‘থিয়েটারে বেশ কয়েক বছর কাজ করার পর সমাজকর্মী হিসেবে এবং তার পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। উপভোগও করেছি। লোকসভার সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি, রাজ্যসভার সাংসদ— দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। তার জন্য দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’