'আলো'র ১৫তম বর্ষের অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপক ছাত্রছাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত।
কোনও সরকারি অনুদান নেই। নেই কোনও বহুজাতিক সংস্থার সাহায্যও। সীমিত সাধ্যের মধ্যেই বেসরকারি উদ্যোগে কাজ করছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আলো’। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে প্রান্তিক অংশের ছাত্রছাত্রীদের জীবনের অন্ধকার ঘুচিয়ে তাঁদের জীবনে আলো জ্বালানোই তাঁদের লক্ষ্য। সম্প্রতি সেই সংস্থা পদার্পণ করেছে ১৫ তম বর্ষে।
২০১১ সালে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন এবং যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ‘আলো’। প্রাথমিক ভাবে হাওড়া ও হুগলির সাত জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে শুরু হয় কাজ। গত ১৫ বছরে রাজ্যের ২৫২ জন ছাত্রছাত্রীকে ৪৫ লক্ষাধিক টাকা বৃত্তিপ্রদান করেছে এই সংগঠন। শুধু বৃত্তিপ্রদানই নয়, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয়েও তদারকি করেন সংগঠনের সদস্যেরা। যার ফলে অনেক সাধারণ মানের ছাত্রছাত্রীও উচ্চশিক্ষায় সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছেন। সমাজের প্রান্তিক অংশের ১০ জন ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি পাশ করেছেন ‘আলো’র সহায়তায়। কোভিড-পরবর্তীকালে একাধিক প্রান্তিক সম্প্রদায়ের উন্নতিকল্পে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে এই সংগঠন।
দেড় দশকে পদার্পণ স্মরণীয় করে রাখতে গত ১৯শে জানুয়ারি গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের শিবানন্দ প্রেক্ষাগৃহে একটি আলোচনা সভা আয়োজিত হয়েছিল সংগঠনের তরফে। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের সম্পাদক স্বামী সুপর্ণানন্দ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন বিজন সরকার, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের ইন্ডোলোজি বিভাগের ‘নিবেদিতা চেয়ার’ অধ্যাপক শক্তিপ্রসাদ মিশ্র, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী অচিন্ত্যম চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক সুশোভন সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ননীগোপাল মন্ডল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির শল্যবিভাগের প্রধান রামকৃষ্ণ ঘোষ, বিশিষ্ট অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ। ওই অনুষ্ঠানে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তিপ্রদান করা হয়। মূল্যবোধ সম্প্রসারণে আলোচনা হয় স্বামী বিবেকানন্দের দর্শন নিয়েও।