চলছে ঘেরাও নিজস্ব চিত্র
তিন ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকে উপাচার্যের বাংলো ‘পূর্বিতা’ ঘেরাও করে রেখেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। ঘেরাও কত দিন চলবে, সেই আশঙ্কায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ঘেরাও-আন্দোলন এর আগে অনেক দেখেছে বিশ্বভারতী। কিন্তু, এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন কর্মী থেকে অধ্যাপকেরা।
ঘেরাও যে দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট শনিবার পূর্বিতার সামনে আন্দোলনকারীরা বাঁশ পুঁতে শামিয়ানা টাঙানোয়। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করার হুমকি দিয়ে রেখেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী জানালেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাল, ডাল, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, মোমবাতি-সহ বেশ কিছু অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী পিছনের পথ দিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে উপাচার্যের কাছে। অশান্তির আশঙ্কায় পূর্বিতার আশপাশে ৯টি সিসি ক্যামেরাও বসিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ পড়ুয়ারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। উপাচার্য বাইরে এসে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় না-বসা পর্যন্ত কিংবা পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সাসপেনশন ও বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না-হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে বলে জানান পড়ুয়ারা। রাত পর্যন্ত পড়ুয়ারা পূর্বিতার সামনে অস্থায়ী অবস্থান মঞ্চে মাইক লাগিয়ে গান ও স্লোগানের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ চালাচ্ছেন। সন্ধ্যায় এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীকউর রহমান অবস্থান মঞ্চে এসে জানান, ৩১ অগস্ট এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিশাল জমায়েত হবে। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে আলোচনায় বসার প্রস্তাব আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।
এ দিন সকালে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির তরফে সুনীল সিংহ, সুব্রত ভকত, আমিনুল হুদারা অবস্থান মঞ্চে এসে আন্দোলনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র পক্ষ থেকে সম্পাদক, সভাপতি-সহ জনা পাঁচেক সদস্যও আন্দোলনের সমর্থনে হাজির হন। সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়ে বিশ্বভারতীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “ভিবিইউএফএ প্রত্যক্ষ ভাবে এই আন্দোলনে পড়ুয়াদের পাশে থাকবে। উপাচার্য বিশ্বভারতীর সর্বস্তরে যে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াব।”