বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো ফুটেজে দেশের সংবিধান বদল নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠল। ওই ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘সংবিধান বানানো হয়েছিল ‘মাইনরিটি’ ভোট দিয়ে।’’ আনন্দবাজার ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, উপাচার্যের মন্তব্য বিকৃত করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ভিডিয়ো তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার সকালে পূর্বপল্লি সিনিয়র বয়েজ় হস্টেলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে যান বিদ্যুৎবাবু। সূত্রের খবর, সেখানেই তিনি ওই মন্তব্য করেন। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, উপাচার্য বলছেন, ‘‘যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন তাঁরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পড়ছেন। এই সংবিধান বানানো হয়েছিল ‘মাইনরিটি’ ভোট দিয়ে। ২৯৩ জন লোক সংবিধান সভায় বসে সংবিধান বানিয়েছিলেন। তৎকালীন কাগজ যদি দেখো, অনেকেই অপছন্দ করেছিলেন। আজকে সেটাই হয়ে গেল আমাদের কাছে বেদ! সংবিধানের প্রস্তাবনাটা বেদ হয়ে গেল। যদি আমরা (সংবিধান) অপছন্দ করি, আমরাই যারা ভোটার, যারা আমরা সংসদ তৈরি করি, আমরা পরিবর্তন করব।’’
বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের দাবি, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভিডিয়ো বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অনুরোধ, সম্পূর্ণ ভিডিয়োটি দেখুন। তা হলেই বোঝা যাবে, এই অসৎ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য কী।’’ কিন্তু বিশ্বভারতীর ছাত্ররা বলছেন, ‘‘ভিডিয়ো বিকৃত হলে তা পুরোটা দেখার প্রশ্ন উঠছে কেন? ’’
আরও পড়ুন: উহানে ভাইরাস আতঙ্কে ‘ঘরবন্দি’ বর্ধমানের বাঙালি গবেষক