ছবি: সংগৃহীত।
ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না বিশ্বভারতীকে। শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে নিজের বক্তৃতায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘অসুস্থ’ এবং ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ বলে মন্তব্য করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যের এমন বক্তব্যের নিন্দায় সরব হয়েছেন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ।
নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে কেন ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চকে ব্যবহার করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। এর আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন উপাচার্য। কখনও কেশবচন্দ্র সেনকে নিয়ে, কখনও ভারতের সংবিধান নিয়ে তাঁর করা মন্তব্যে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সিআইএসএফ চেয়েও বিতর্ক বাধিয়েছেন বিদ্যুৎবাবু। এ বার যে প্রতিষ্ঠানের তিনি উপাচার্য, তাকেই ‘কৃত্রিম শ্বাসে চলতে হচ্ছে’ বলে নতুন বিতর্ক বাধালেন।
উপাচার্য এ দিন তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘‘আমি মনে করি, বিশ্বভারতী এখন অসুস্থ। তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্যে চলতে হচ্ছে।’’ এর পরেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীতে অর্থের সমস্যা একটু চলছে। তারই সঙ্গে আমরা সমষ্টিবদ্ধ হতে পারছি না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিশ্বভারতী সেই হাঁস, যে সোনার ডিম দেয়। আমরা সেই হাঁসের যত্ন নিচ্ছি না। বিশ্বভারতী না থাকলে আমাদের পেট চলত না, এখানকার সাংবাদিকদের পেট চলত না, ব্যবসায়ীদের পেট চলত না।’’ এখানেই না থেমে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজঘাটে যেমন ২ অক্টোবর গাঁধী টুপি পরে চোরেরা ঘুরে বেড়ায়, তার পরে সারা বছর গাঁধীজীর আদর্শকে ভুলে থাকে, ২১শের উদ্যাপনও তেমনই একটা ‘রিচুয়ালে’ পরিণত হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: গুরুতর পরিণাম মনে করালেন রাজ্যপাল
ভাষা দিবসকে স্মরণ করে এ দিন একাধিক রাস্তায় লেখেন, আঁকেন পড়ুয়ারা। উপাচার্যকে বিঁধেও একাধিক স্লোগান নজরে আসে ক্যাম্পাসে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘যাঁরা বিশ্বভারতীর মধ্যে থেকে বিশ্বভারতীকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন, তাদের ধিক্কার জানাচ্ছি।’’