সময়ে মেলা শেষে জোর বিশ্বভারতীর

মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরের সভাকক্ষে পৌষমেলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৩
Share:

বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরে চলছে সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

এ বার পৌষমেলা শুরু হচ্ছে ৭ পৌষ, ২৪ ডিসেম্বর। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার পরে আর ভাঙা মেলা বা কোনও বিক্রিবাটা করা যাবে না বলে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়। এ বছর স্টল থাকছে ১৬০৪টি। এর মধ্যে ১৫৪২টি স্টল ব্যবসায়ীরা অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করতে পারবেন। বাকি ৮৪টি স্টল ডোকরা ও পটশিল্পীদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরের সভাকক্ষে পৌষমেলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার। ছিলেন বিশ্বভারতীর অ্যাকাউন্ট অফিসার সঞ্জয় ঘোষ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার সহ অনেকেই। বিশ্বভারতীর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এ বারে অনলাইনের মাধ্যমে স্টলের জায়গা বুকিং-এর আবেদন করতে হবে। খড়গপুর আইআইটি-র তৈরি করে দেওয়া অনলাইন সফটওয়্যার-এর মধ্য দিয়েই মেলার স্টল বুকিং করা হবে।

এ দিকে, ১ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পৌষমেলার স্টল বুকিং-এর কথা থাকলেও কিছু সমস্যায় বুকিং চালু করা যায়নি। আজ, বুধবার সকাল দশটা থেকে জায়গা বুকিং করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মেলা যেহেতু এ বছর চার দিনের, তাই বিশ্বভারতীর তরফে পৌষমেলাকে একাধিক জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেলার স্টল-এর জায়গার দাম রাখা হয়েছে ৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা প্রতি বর্গফুট।

Advertisement

এ বছরও বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মেলায় ১৯টি স্টল করার জায়গা দেওয়া হচ্ছে। উৎসাহী ছাত্রছাত্রীরা কী উদ্দেশে স্টল করতে চান, তা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। সেই মতো স্টলের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির জন্যও স্টলের জায়গা রাখা হচ্ছে।

আর মেলার নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে দোকান না তোলা হলে মিলবে না সিকিয়োরিটি মানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement