ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর বেতন বিভ্রাট নিয়ে আচার্য প্রধানমন্ত্রী ও পরিদর্শক রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠাতে চলেছেন শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, কেন তাঁদের বেতন দিতে দেরি করা হল? বেতন দিতে যে ক’দিনের জন্য দেরি হল, সেই ক’দিনের সুদ কেন পাবেন না শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা? কেন্দ্রীয় সরকার যে বর্ধিত হারে মহার্ঘভাতা ঘোষণা করেছে, তার থেকেই বা কেন বঞ্চিত হবেন তাঁরা? এমনই একগুচ্ছ দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখতে চলেছেন বিশ্বভারতীর শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী আয়োগের কাছেও তাঁরা পুরোটা জানাবেন।
তাঁদের দাবি, বেতন দেরি হওয়া যে নোটিস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জারি করেছেন, তা ভিত্তিহীন। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়েও তো লকডাউন ছিল। তখন লকডাউনের জন্য বেতন দিতে দেরি হয়নি, তা হলে এ বার কেন হল?
বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেতন মিলেছে ১৬ দিনের মাথায়। তাও আবার কোনও কোনও শিক্ষক, আধিকারিকদের যা বেতন, তার থেকে কম কম বেতন মিলেছে। বাদ পড়েনি পেনশনভোগীরাও। তাঁদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তিন মাসের কর জমা দেওয়া হয়নি। জুলাই মাসের বেতনে পর এই বিষয়টা করের কাঠামো পরিষ্কার হবে। যদি এই রকম হয়ে থাকে তাহলে অনেকর ‘সিবিল স্কোর’-এর উপর প্রভাব পড়বে। কারণ অনেকেরই মাসিক কিস্তি জমা দেওয়ার সময় থাকে মাসের ৬-৭ তারিখের মধ্যে। জমা না দিলে তাঁর জন্য জরিমানা দিতে হবে। শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা দাবি করেছেন, বেতন যতদিন তাঁদের কাছে না এসে ব্যাঙ্কে পড়েছিল, ততদিনের সুদও তাঁরা চান। এই নিয়ে বিশ্বভারতীর শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী আয়োগের দারস্থ হওয়ার পাশাপাশি পরিদর্শক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তথা আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি দিয়ে জানাবেন ও হস্তক্ষেপ দাবি করবেন বলে জানান।
শিক্ষকদের অভিযোগ, এই গোটা বেতন বিভ্রাটের জন্য দায়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিভিন্ন রকম ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে তিনি এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যদিও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য-সহ জনসংযোগ আধিকারিক কিছুই বলতে নারাজ।