নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসায় গাফিলতির ফলে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। ফের কাঠগড়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। আর এই নিয়েই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হল হাসপাতাল চত্ত্বরে। মৃত রোগীর পরিজনরা অভিযোগ করলেন, তাঁদের ব্যপক মারধর করেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। পাল্টা হাসপাতালের অভিযোগ, রোগীর আত্মীয়রাই চড়াও হন হাসপাতালের কর্মীদের উপর
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি হন হরিহরপাড়ার চোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৫৯ এর গোলাম রসুল। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, এমআরআই করার জন্য শুক্রবার ওই প্রৌঢ়কে বাইরে বের করতে হাসপাতাল ভেতরে ঢুকতে চান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তত ক্ষণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাই প্রৌঢ়কে বের করে আনতে গেলে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, তারপরেই পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। মারধর করা হয় মৃতের পরিবারের মহিলা সদস্যদেরও। নিরাপত্তারক্ষীদের মারে আহত হয়েছেন মৃতের পরিবারের ৪ সদস্য।
পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বহরমপুর থানার বিরাট পুলিশবাহিনী। এ দিকে নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবারের ৮ জন সদস্যকে আটক করে পুলিশ। মৃতদেহ গাড়িতে রেখেই হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন।
যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয়কুমার বেরা বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীরা মারধর করেছে বলে শুনিনি। মৃতদেহ ওইভাবে হাসপাতালের বাইরে বের করে আনার নিয়ম নেই। পরিবারের লোকজন জোর করে মৃতদেহ বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করে। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেওয়ায় বচসা বাঁধে। সেই সময় পরিবারের লোকজনই নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করেন।’’