বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম করে টাকা দিয়ে টিকিট পাইয়ের দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র।
একটি ভিডিয়ো ক্লিপিংকে কেন্দ্র করে রবিবার সরগরম হল রাজ্য রাজনীতি। এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুরভোটে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র টিকিট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গিয়েছে জনৈক প্রতিম সরকারকে। যিনি নিজেকে রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন। ওই টেপে তাঁকে বলতে শোনা গিয়ছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি টিকিট পাইয়ে দিতে পারেন। ওই প্রসঙ্গে তিনি নাম নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীরও।
ওই ক্লিপিং নিয়েই চাপানউতোর চলল বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে। সব ঠিকঠাক থাকলে আর কয়েক দিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে, কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট। তাই রাজনৈতিক দলগুলিতেও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। ভিডিয়োটিতে জনৈক প্রীতম সরকার নিজেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন।সঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করে কলকাতার পুরভোটে বিজেপি-র পক্ষে দক্ষিণ কলকাতা এলাকার বেশকিছু ওয়ার্ডের বিজেপি-র টিকিট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা যায়। তবে টিকিটের বিনিময়ে এক লক্ষ টাকাও দাবি করে ওই ব্যক্তি।
ভিডিয়োটির সঙ্গে তৃণমূলের ওই টুইটে লেখা হয়েছে, ‘বাংলায় বিজেপি প্রার্থীপিছু এক লক্ষ টাকা করে চাইছে। সুকান্তবাবু আপনি এভাবেই আত্মপ্রচারের জন্য নিজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন? স্তম্ভিত।’ নেটমাধ্যমে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের মতো। ওই ভিডিয়ো অবশ্য আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।
বিষয়টি গোচরে এসেছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের। ভিডিয়ো নিয়ে কলকাতার পুরভোটে বিজেপি-র দায়িত্বে থাকা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথমতঃ যে ব্যক্তির নাম করা হচ্ছে তিনি কে? আমি চিনি না। আদৌ এমন কেউ রয়েছেন কিনা, তাও জানি না। ভোটের সময় অনেক ফেরেব্বাজ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম করে টাকা রোজগারের চেষ্টা করেন।কেবল বিজেপি নয়, তৃণমূলের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।’’ আর তৃণমূলের টুইটারে তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘যে প্রীতম সরকার এক লাখ টাকার বিনিময়ে বিজেপি-র টিকিট পাইয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনিই আবার ওই ভিডিয়ো ক্লিপিংয়ে বলছেন, তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে বিজেপি-কে জেতাবেন। তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে তৃণমূল ওই প্রীতম সরকারের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে?’’