Panchanan Barma University

উপাচার্য জবাব দেবেন না, জানিয়ে দিল রাজ্য

কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য হিসেবে তাঁকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গত দু’দিন ধরেই এই প্রশ্ন তুলছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:২৮
Share:

পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

আচার্য তথা রাজ্যপাল যে শো কজ় করেছিলেন, তার জবাব দেবেন না পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়—উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে শুক্রবার এ কথা জানা গিয়েছে। এই সংক্রান্ত যে নতুন সংশোধিত আইনটি উচ্চশিক্ষা দফতর সম্প্রতি প্রণয়ন করেছে, এ দিন কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সেটি বিলি করা হল। তার কিছু অংশ আবার কালি দিয়ে আলাদা ভাবে উজ্জ্বল করা রয়েছে। উপাচার্যকে কারণ দর্শাতে গেলে কোন পদ্ধতিতে তা করতে হবে, তার বিবরণ রয়েছে এর মধ্যে। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দেন, আইন যে বদলে গিয়েছে, সেটা জানানোর জন্যই আইনের প্রতিলিপি বিলি করা হয়েছে। উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘‘কী রয়েছে, আপনারাই দেখে নিন। এটুকু বলতে পারি, আইন মেনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের (কম্পিটিটেন্ট অথরিটি, বলেছেন তিনি) কাছ থেকে যদি কোনও চিঠি আসে, তা হলে সেই চিঠির আমি উত্তর দেব।’’

Advertisement

কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য হিসেবে তাঁকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গত দু’দিন ধরেই এই প্রশ্ন তুলছেন। বৃহস্পতিবার তিনি এই নিয়ে উপাচার্যকে শো কজ় করে প্রশ্ন তোলেন, কেন উপাচার্যকে অপসারণ করা হবে না? এই নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের নতুন টানাপড়েনের ক্ষেত্রও তৈরি হয়। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আচার্য ছিলেন না। উপাচার্যই সভা পরিচালনা করেন। সমাবর্তন উপলক্ষে যে পত্রিকা প্রকাশিত হয়, সেখানে ছাড়া গোটা অনুষ্ঠানের কোথাওই বলতে গেলে আচার্যকে নিয়ে চর্চা ছিল না। এর মধ্যেই আইনের প্রতিলিপি বিতরণ করা হয়। পরে উপাচার্য বলেন, “ওই আইন জন-নথি বা পাবলিক ডকুমেন্ট। সহজেই পেয়ে যাবেন। কী রয়েছে, আপনারাই দেখে নিন।’’ এর পরেই তিনি জানান, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি এলে উত্তর দেবেন। আরও বলেন, ‘‘উনি আমার আচার্য। ওঁর বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে চাই না।’’ তিনি রাজ্যপালের পাঠানো শো কজ়ের চিঠি পেয়েছেন কি না, সেই প্রসঙ্গও এড়িয়ে গিয়েছেন উপাচার্য়। তিনি বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বিধি, নিয়ম, আইন মেনে কাজ করতে হয়। আমি তা মেনেই কাজ করেছি। আমার আধিকারিকরাও ভুল পদক্ষেপ করেননি।’’ তা হলে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে কেন? এর জবাবে উপাচার্য বলেন, “সাতশো কিলোমিটার দূর থেকে তা আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। আগামী সপ্তাহে ওই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement