B ED University

হুমকি পেয়েছেন, অভিযোগ করে প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রাখলেন উপাচার্য, ব্রাত্য বললেন, ‘তুঘলকি কাণ্ড’

নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য সোমা। প্রশাসনের সহযোগিতায় যত দিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তত দিন বন্ধ থাকবে প্রশাসনিক কাজ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০৭
Share:

(বাঁ দিকে) ব্রাত্য বসু। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

তিনি হুমকি পেয়েছেন। তাই আপাতত বিআর অম্বেডকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ থাকছে। বিকাশ ভবনে মেল করে এই কথা জানিয়েছেন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনে বিরক্তি প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানালেন, যিনি হুমকি পেয়েছেন, তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় কেন বন্ধ থাকবে? এ সব ‘তুঘলকি কাণ্ড’ বলে জানিয়েছেন তিনি। আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন।

Advertisement

গত মাসে শিক্ষকতার পাঠ দেওয়া রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের সরকারি অনুমোদন আপাতত ‘বাতিল’ করা হয়েছে। এই কলেজগুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিআর অম্বেডকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অভিযোগ করেছেন, এই পরিস্থিতি তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা হুমকি দিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যে কোনও বেসরকারি বা সরকারি অনুদানপুষ্ট নয় এমন বিএড বা এমএড কলেজের সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হতে পারে। তা ছাড়া নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য সোমা। প্রশাসনের সহযোগিতায় যত দিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তত দিন বন্ধ থাকবে প্রশাসনিক কাজ। অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন উপাচার্য। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ। শুধু প্রশাসনিক কাজ চলছিল। সেটাও বন্ধ হয়েছে।

এই চিঠি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানলাম। মেল করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রার বিকাশ ভবনে জানিয়েছেন। এটা পন্থা হতে পারে না। ঠিকঠাক চালাতে না পারলে তালা লাগিয়ে চলে যেতে পারেন না। তার থেকে পদত্যাগ করা উচিত।’’ এর পরেই আচার্য তথা রাজ্যপালের প্রসঙ্গ তুলেছেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সোমাও। সেই নিয়ে মামলা উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই প্রসঙ্গ তুলে ব্রাত্য জানিয়েছেন, উপাচার্যের সমস্যা হলে তাই আচার্যকে জানানো উচিত। তাঁর কথায়, ‘‘আচার্যের কথা শুনে এঁরা (উপাচার্য) এসেছেন। তাই আচার্যকে জানানো উচিত। দফতরে কথা বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা কাম্য নয়। বাঞ্ছনীয় নয়। উচিত নয়। উনি আচার্যের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, জানি না। এটাকে সমর্থন করছি না।’’

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আইনি পরামর্শ নেব, কী করা যেতে পারে, দেখব। সুপ্রিম কোর্ট আচার্যকে বলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসুন। উনি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অগ্রাহ্য করেছেন। এ রকম অভূতপূর্ব পরিস্থিতি হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে তালাচাবি লাগিয়ে চললাম, হয় না। এগুলো করা যায় না। তুঘলকি কাণ্ড চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News,X (Twitter),Facebook,Youtube,Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement