লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই এক পর্যটক। নিজস্ব চিত্র।
লকডাউন উঠে গিয়েছে বহু আগে। পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহরগুলিতে নিয়মিতভিড় হচ্ছে পর্যটকদের। কিন্তু অভিযোগ, সেই সব পর্যটক বা সৈকতের বিনোদনমূলক ব্যবসার যুক্ত ব্যক্তিরা ভুলেছেন করোনা স্বাস্থ্য বিধি!
মন্দারমণির সৈকতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে নানা বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। দাদনপাত্রবাড়ে স্নানঘাটে বেসরকারি উদ্যোগে ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস’ চালু রয়েছে। একাধিক স্পিডবোট এবং জেট স্কি চেপে সমুদ্রের দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পর্যটকদের একাংশ। নিয়ম ভেঙে চলা ওই ব্যবসায় যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনই একাধিক পর্যটকের ব্যবহার করা লাইফ জ্যাকেটও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এই মন্দারমণির সৈকতেই প্যারাসেলিং করার সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পর্যটকের। সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। এর মধ্যেই বর্তমানে মন্দারমণিতে যে সব ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস’ চলছে তাতে কোনও রকম সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অনেক পর্যটকই লাইফ জ্যাকেট ছাড়া ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে’র আনন্দ উপভোগ করছেন। আর যাঁরা লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করছেন, তাঁদের দেওয়া জ্যাকেটগুলিও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বছর বড়দিন বা নববর্ষে প্রচুর পর্যটক এসেছিলেন মন্দারমণিতে। তাঁদের অনেকেই স্পিড বোট বা জেটস্কিতে চড়েছেন। কলকাতার মুদিয়ালি থেকে বেড়াতে যাওয়া এক মহিলা পর্যটক বলেন, ‘‘পরিবারে মন্দারমনি বেড়াতে গিয়েছিলাম। স্পিডবোটে চেপে সমুদ্রের কিছুটা অংশ ঘুরতে ভালো লেগেছে। তবে যিনি গাইড করছেন তাঁকে লাইফ জ্যাকেট পরতে দেখিনি। আগে যাঁরা লাইফ জ্যাকেট পরেছিলেন, সেগুলি খুলেই আমাদের পরতে দেওয়া হল। জীবাণুমুক্ত করা হল না।’’
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে কাঁথির এসডিপিও সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে ছিল না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’