Bratya Basu

শহরে প্রতিবাদে রাজনৈতিক বিরোধীরাই, মত শিক্ষামন্ত্রীর

তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে রাজ্য জুড়ে নাগরিক সমাজের বিক্ষোভে রাজনৈতিক মানসিকতাই দেখছে তৃণমূল। ফের এক বার দলের সেই মূল্যায়ন শুক্রবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৪
Share:

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল ছবি।

আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যে নাগরিক সমাজকে প্রতিবাদের পথে দেখা যাচ্ছে, শহরাঞ্চলে তারা রাজনৈতিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এমনই মত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শহরাঞ্চলে আমাদের বিরোধী ভোটারেরাই রাস্তায় নেমে মিছিল করছেন। তাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হেতু গরিবদের পক্ষ নিয়েছেন, তাই উচ্চ শ্রেণির একাংশ তাঁর দিকে বাঁকা চোখে দেখেন!’’

Advertisement

তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে রাজ্য জুড়ে নাগরিক সমাজের বিক্ষোভে রাজনৈতিক মানসিকতাই দেখছে তৃণমূল। ফের এক বার দলের সেই মূল্যায়ন শুক্রবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। দলের তরফে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এই যে এত কিছু ( প্রতিবাদ কর্মসূচি) হচ্ছে, মিলিয়ে নেবেন সামনের উপনির্বাচনে ফল হবে ৬-০!’’ ভোট বা জয়-পরাজয় একমাত্র বিষয় নয় জানিয়েও ব্রাত্যের দাবি, আগামী বিধানসভা ভোটে মমতা ফের ক্ষমতায় ফিরবেন। নাগরিক সমাজের লাগাতার আন্দোলনের সঙ্গে শহুরে মানুষের প্রত্যাশা ও চাহিদার কথাও তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিন্যাস ব্যাখ্যা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নাগরিক একাংশের মন বাঁকাচোরা!’’

দলের তরফে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলায় বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেই কর্মসূচিতেই এ দিন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খান, পুর-প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষ নির্বাচনী ফল নিয়ে নিজেদের বিশ্লেষণ জানান। সেই সূত্রেই ব্রাত্য বলেন, ‘‘২০১৪ সাল থেকেই সারদা-নারদ শুরু হয়েছিল। তবু ২০১৬ সালে আমরা জিতেছি। তার পরে দু’শো পারের স্লোগান তোলা হয়েছিল। আমরা আগের ভোটের থেকেও বেশি আসনে জিতেছি। এ বারেও (২০২৬) দু’শোর বেশি আসন পেয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরবে।’’

Advertisement

চিকিৎসকদের আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মূল দাবি থেকে আন্দোলনকারীরা সরে যাচ্ছেন।’’ সেই সঙ্গেই সংবাদমাধ্যমের একাংশ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ‘হাওয়া’ দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement