দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ও চাকরি-প্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর অব্যাহত। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ রবিবার মন্তব্য করেছেন, ‘‘নিয়োগের একটা পদ্ধতি আছে। রাস্তায় অবস্থান করে বসে থাকলেই কি নিয়োগ সম্ভব? আমার মনে হয়, এ ভাবে হয় না। পদ্ধতি মেনেই নিয়োগ এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে।’’ আন্দোলনকারীগের তরফে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে, টাকা দেওয়াই কি নিয়োগের আসল পদ্ধতি? সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী আবার এ দিন বলেছেন, ‘‘মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে, শোনা যাচ্ছে। এ আর নতুন কথা কী! জেলায় জেলায় অনেকেই টাকা তুলতেন। মানিক, তাপস, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, পিছনে অনুব্রতের বাহিনী, মাথার উপরে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সকলের উপরে মুখ্যমন্ত্রী। এই ভাবেই তো চলছে সব। বাংলার মানুষ বুঝতে পারছেন সব, রাস্তায় প্রতিবাদেই তাঁরা আছেন।’’ বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘আন্দোলনে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই যোগ্য। চাকরি পেতে পারতেন। কিন্তু তাঁদের চাকরি না দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জেলায় জেলায় তাঁর দালালেরা চাকরি বিক্রি করেছে। নিলাম করা হয়েছে এ রাজ্যে শিক্ষার ভবিষ্যৎ!’’