শিলিগুড়িতে বিজেপি-র বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে একটি মিছিল বের করে বিজেপি। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। মিছিল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তা আটকে দেয়। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে।
বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে আসানসোলে ধিক্কার মিছিল বের করল তৃণমূল। বিএনআর মোড় থেকে শহিদ ভগৎ সিংহ মোড় পর্যন্ত হল এই ধিক্কার মিছিল।
বিজেপির ডাকা বন্ধে কোনও প্রভাব পড়ল না মেদিনীপুর শহরে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব দাবি, বন্ধ সফল হয়েছে। ‘ভোট লুটের’ প্রতিবাদ জানিয়েছে মানুষ। ঘাটাল মহকুমায় বনধের জেরে দোকান, এটিএম বন্ধ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় বিজেপি। রাস্তায় বসে অবরোধ করার চেষ্টা করে বিজেপি নেতা কর্মীরা।
দুর্গাপুর বাজারে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপির বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই এবং কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। পুলিশ বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে।
বিজেপির ডাকা বন্ধে উতপ্ত শিলিগুড়ির সফদর হাসমি চক, বিধান মার্কেট, পানিট্যাঙ্কি মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মাটিগাড়া নকশাল বাড়ি বিধায়ক অন্দন্দময় বর্মন। বন্ধ সফল করতে সফদর হাসমি চকে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ শুয়ে পড়েন রাস্তায়। তাঁদের আটক করে পুলিশ। জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টাও করা হয়।
নদিয়ার পায়রাডাঙ্গায় বিজেপি-র রেল অবরোধ। সকাল দশটা নাগাদ বন্ধ সমর্থকরা রেল অবরোধ করেন।
খিদিরপুর, বেহালা ও হাজরায় বিজেপি-র বিক্ষোভ। হাজরায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা। বেশ কয়েকজনকে আটক করল পুলিশ।
বন্ধের সমর্থনে যাদবপুর ৮বি-তে বিজেপি-র মিছিল।পথ অবরোধ। বন্ধ সমর্থকদের আটক করল পুলিশ।
বিজেপির ডাকা বাংলা বনধে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের। সোমবার সকাল ৯ টা নাগাদ বহরমপুর জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে বাংলা বনধের সমর্থনে মিছিল বের করে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বহরমপুর কাদাইয়ের বিভিন্ন দোকান বাজার বন্ধ করতে উদ্যত হন তাঁরা। জলট্যাঙ্কের মোড়ে মিছিল যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করতে গেলে তাও কেড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। মাঝপথ থেকেই ফিরে যায় মিছিল।
শিলিগুড়ির সফদর হাসমি চক বা ভেনাস মোড়ে, জলকামান নিয়ে প্রস্তুত শিলিগুড়ি পুলিশ৷ প্রতিদিনের মতই সকালের দিকে স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল।
বালুরঘাটে সরকারি বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা বন্ধের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখালেন। রাস্তায় বসে তাঁরা অবরোধও করেন। বন্ধ সমর্থকদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়।
সকাল সাতটা নাগাদ হুগলির স্টেশনে ডাউন বর্ধমান লোকাল আটকে দেয় বনধ সমর্থকরা। ব্যান্ডেল রেল পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে বিক্ষোভ করে বিজেপি।
বন্ধের বিরোধিতা করে কোচবিহারে রাস্তায় নামল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।
• সকাল ৯.৩০ টায় বড়বাজার এলাকায় মালাপাড়া অঞ্চলে জমায়েত।
• দুপুর ১ টায় মৌলালিতে বিক্ষোভ।
• দুপুর ২ টোয় উল্টোডাঙায় বিক্ষোভ।
সকাল ৯টায়
• যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড
• বেহালা ১৪ নং বাসস্ট্যান্ড
• খিদিরপুর মোড়
• হাজরা মোড়
হাওড়া এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। চলছে সরকারি ও বেসরকারি বাস।
বিজেপি ডাকা ১২ঘণ্টার বন্ধে আংশিক প্রভাব লক্ষ্য করা গেল কোচবিহার শহরে। বেসরকারি পরিবহন পথে দেখা না গেলেও সরকারি পরিবহন রাস্তায় নেমেছে। তাছাড়াও টোটো অটো রাস্তায় নেমেছে। কোচবিহারে ভবানীগঞ্জ বাজারে পাওয়ার হাউস চৌপথিতে সরকারি বাস আটকান বিজেপির দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে।